নোয়াখালীতে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন এমপি একরাম

ekram-ul-korim1 নোয়াখালী জেলা চলছে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর একক ইশারায়। সরকারি উন্নয়নকাজের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ, বদলি, নেতা-কর্মীদের দলীয় পদবীসহ সবকিছুর একক নিয়ন্ত্রণ করছেন নোয়াখালী সদরের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর একরামুল করিম চৌধুরীকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামীলীগ।
এসময় তার বিরুদ্ধে জেলার উন্নয়নমূলক কাজ থেকে উচ্চহারে কমিশন গ্রহণ, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ ও দুর্নীতিসহ দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয় বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাংসদ একরাম আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর তার নিয়ন্ত্রণ বাণিজ্য ও একক আধিপত্য আবারো বেড়ে যায়।
এদিকে সাংসদ একরামের হয়ে তার একান্ত অনুগত কথিত তিন খলিফা এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম করছেন বলে জানা গেছে। এই তিন খলিফর কারণে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদেরও নানা ইমেজ সঙ্কটে পড়তে হচ্ছে। কথিত এই তিন খলিফা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিয়াউল হক, উপপ্রচার সম্পাদক সামসুদ্দিন জোহান ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল্লাহ খান।
জেলা আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি জানান, জেলার সদর আসনের সংসদ হওয়ার সুবাদে একরামুল করিম চৌধুরী জেলার নিয়োগ, বদলি, ত্রাণ বিতরণ, সরকারি দরপত্রসহ সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেনে। জেলা-উপজেলার ত্রাণ নিয়েও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও এক প্রভাবশালী মন্ত্রী জেলায় বিভিন্ন নিয়োগ এবং বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ দেন।
নোয়াখালীর বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় এক এমপি বলেন, সাংসদ একরাম গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হাতিয়া আসনে নিজ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচরণা চালায়। তার এমন দলীয় স্বার্থবিরোধী প্রচারণা ও নানা অনিয়মে এখন নেতাদেরও বিভিন্ন ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে হচ্ছে। জানা যায়, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।
এজন্য একরামুল করিম চৌধুরী দল থেকে বহিষ্কৃত কার হয়। এর দেড় বছর পর বহিষ্কারাদের প্রত্যাহার করা হলে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতায় একরামুল করিম চৌধুরী দেশের বাইরে অবস্থান করায় এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।আ স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *