যুদ্ধাপরাধ মামলায় বিচারাধীন জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চের দুই পক্ষ। একইসঙ্গে বিচারাধীন অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিও রয়েছে উভয় গ্র“পের।
বুধবার রাতে ডা. ইমরান এইচ সরকার এবং ইমরান বিরোধী পক্ষের সংগঠক ও গৌরব ’৭১- এর সাধারণ সম্পাদক এএফএম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কর্মসূচীর বিস্তারিত জানিয়ে ইমরান বুধবার গণমাধ্যমে বার্তাও পাঠিয়েছেন।
বুধবার রাত ১০ট ৫৪ মিনিটে দিকে মুঠোফোনে ডা. ইমরান আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, ‘নিজামী, সাঈদীসহ সকল বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় গণমিছিল ও সমাবেশ আহ্বান করেছি। এ বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানান হয়েছে। তবে তারা আমাদের কোনো কিছু বলেনি। যদি না করতে দিত তাহলে অনুমতিপত্র দেবার সময়ই পুলিশ আমাদের জানাতো। যেহেতু বলেননি তাই আমরা ধরে নিয়েছি এতে তাদের অনুমতি রয়েছে।’
অপরপক্ষেরর কর্মসূচির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে এএফএম শাহীন আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় আমরা বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা নিজামী, সাঈদীসহ সকল বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ এবং সাঈদীর প্রতিকী ফাঁসি দেব।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচি পালনের জন্য কিছুক্ষণ পূর্বে আমাদের লোকজন লিখিতভাবে শাহবাগ থানা পুলিশকে জানাতে গিয়েছেন।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই ইমরানকে শাহবাগে কর্মসূচী পালন করতে দেব না। তার কারণে গণজাগরণ মঞ্চের গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, ‘আমি কেবল ইমরান এইচ সরকারের কাছ থেকে লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। তবে তাদের সমাবেশ করা কিংবা না করার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।’
অপর পক্ষের কর্মসূচির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
ওসি বলেন, ‘যদি অপর পক্ষ একই সময় কর্মসূচি ডাকে তাহলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত: আমি কিছু বলতে পারছি না।’