ঝিনাইদহে সৌদি আরব থেকে এতিম ও দুস্থদের জন্য পাঠানো খয়রাতি দুম্বার মাংস লুট করে নিয়ে গেছে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন।
আজ সকালে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে বিতারনের সময় ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মর্কর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন এবং পুলিশ সদস্যদের সামনে অন্তত ৭০/৮০ কার্টুন মাংস লুটের ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫/৬ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের প্রতিনিধি হিসাবে সচিবগণ ও বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদরাসার প্রতিনিধিগণ তাদের জন্য ধার্যকৃত খয়রাতি দুম্বার মাংস নেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়।
বরাদ্ধকৃত ইউনিয়নের ৩ কার্টুন মাংস নেয়ার জন্য ঝিনাইদহ সুরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ার্দ্দার কেবি অন্তত ২০জন লোকজন নিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের সামনে উপস্থিত হয়। এছাড়া ওইস্থানে পোড়াহাটি ইউনিয়নের মাংস নেয়ার জন্য সেখানে ১০/১৫ জন ব্যাক্তিকে দেখা যায়।
এই অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬ টায় জেলার ৬টি উপজেলার দুম্বার মাংস বহনকারী ট্রাক এসে পৌঁছালে সেখান থেকে সদর উপজেলার জন্য ১১৪ কার্টুন মাংস নামিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের প্রধান ফটকের সামনে রাখা হয়।
এরপর তালিকানুযায়ি সাধূহাটি ও মধুহাটি ইউনিয়নের মাংস প্রদানের পর পরই সুরাট ও পোড়াহাটি ইউনিয়নের লোকজন মুহুর্তের মধ্যে সেখানে দায়িত্বরত সদর প্রকল্প বাস্তবায়ণ দপ্তরের কর্মচারীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ৭০/৮০ কার্টুন মাংস লুট করে আলম সাধুতে করে নিয়ে যায়। যে কারনে অধিকাংশ এতিম খানা, মাদরাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত মাংস থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মর্কর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল হোসেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক এমদাদসহ পুলিশ সদস্যরা দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মর্কর্তা ইকবাল হোসেনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তার দায়িত্ব ৬ উপজেলার জন্য বরাদ্ধকৃত খয়রাতি দুম্বার মাংস সঠিকভাবে উপজেলা কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝে দেয়া। মাংস বিতারন ও রক্ষা করার দায়িত্ব স্ব স্ব উপজেলা প্রসাশনের।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন খয়রাতি দুম্বার মাংস লুট হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা এই লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি আরো জানান এই ঘটনার পর সে সকল এতিম খানা, মাদরাসা ও ইউপি পরিষদ মাংস থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওই সকল প্রতিষ্ঠানকে তার দপ্তরের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জন্য বরাদ্ধকৃত মাংস থেকে বঞ্চিতদের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সাথে পরামর্শ করে তিনি লূটের ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।