বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছ হয়েও বাজারে বিক্রি হচ্ছে না ইলিশ। কিন্তু বাজার ছেয়ে যাচ্ছে চকোরি ও চান্দ্রিয়া মাছে যা দেখতে ইলিশের মতই। কম দামে পেয়ে ক্রেতারা ইলিশ ভেবে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব মাছ এবং রান্নার পর স্বাদগন্ধে বুঝতে পারছেন, কীভাবে প্রতারিত হয়েছেন তারা।
বিক্রেতারা জানান আইনী নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ইলিশ বিক্রি করতে পারছেন না। উপরন্তু এইসব সস্তা ও নিম্নমানের মাছ তাদের ব্যবসার ক্ষতি করছে।
সূত্র জানায় দুই হাজার টন ইলিশ মাছ মাসের পর মাস হিমাগারে সংরক্ষিত করে রাখা আছে। গত সাত মাসে মিয়ানমার, ওমান ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি হয়েছে ১২ হাজার টন চকোরি ও চান্দ্রিয়া মাছ ।
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ এসোসিয়েশন সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পাঠানো এক চিঠিতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রমতে বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক হবার কথা।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হননি। তিনি বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলোচনা সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”
বাংলাদেশে বছরে ৬–৭ লাখ টন ইলিশ ধরা হয় ও রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মিলে এই মাছের ক্রেতার সংখ্যা দাঁড়াবে ৩২ কোটিতে।
বাংলাদেশ ফিশ এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ–সভাপতি এস এ ওয়াদুদ বলেন, “২ হাজার টন ইলিশ মাছ হিমাগারে না রেখে রফতানি করলে সরকার ৫০০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জুন মাসে ইলিশ রফতানির বিষয়ে এক সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।