ভারতের ভাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মেহসানা জেলার এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। চা-বিক্রেতা বাবার চার সন্তানের মধ্যে মোদি ছিলেন তৃতীয়। শৈশবে বাবাকে সাহায্য করতে বেদনগর রেলস্টেশনে যাত্রীদের কাছে হেঁটে হেঁটে চা বিক্রি করতেন তিনি।
পরিচিতজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, শিশু বয়স থেকেই মোদি ছিল একজন গোড়া হিন্দু। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, টানা চার দশক ধরে ‘নবরাত্রি’র (উত্তর ভারতে পালিত হিন্দুদের একটি উৎসব) উপবাস করছে মোদি।
জীবনীগ্রন্থ রচয়িতা নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মতে, কম বয়সে বিয়ে করে মোদি। তবে বিয়ে করার বিষয়টি প্রকাশও করেনি তিনি। এর পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠনগুলো স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) ‘প্রচারক’ পদ। আর এ পদ পেতে গেলে চিরকুমার থাকতে হয়। গোপনীয়তা বজায় না রাখলে হয়তো ওই পদে আসীন হতে পারতেন না তিনি। ১৯৭১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএসে যোগ দিয়েছিল মোদি।
রাজনীতিতে জড়ানোর পরও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে মোদি। পরে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে সে। ১৯৮৭-৮৮ সময়ে মোদি বিজেপির গুজরাট ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়। মূলত, এর মধ্য দিয়েই মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করে সে।
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে ধীরে ধীরে বিজেপিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন মোদি। ১৯৯০ সালে তিনি আদভানির নেতৃত্বে সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রায় বড় ভূমিকায় ছিল।
১৯৯১ সালে তৎকালীন দলীয় প্রধান মুরলি মনোহর যোশির নেতৃত্বে কন্যাকুমারী-শ্রীনগর একতা যাত্রারও অন্যতম সংগঠক ছিলো মোদি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দলের প্রবীণ নেতা এলকে আডভানিকে সরিয়ে বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর পদে মনোনয়ন লাভ করেন তিনি। ফলাফল এককভাবে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় আসন পেয়েছে দলটি।