ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষে কোটায় ভর্তির সময়সীমা বৃদ্ধি ও আসন ফাঁকা থাকা বিভাগগুলোতে নতুন করে ভর্তির দাবিতে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।
শনিবার বেলা একটার দিকে প্রশাসন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মিছিল শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ইবি শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় তারা ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষে কোটা এবং যেসব বিভাগে আসন ফাঁকা আছে সেসব বিভাগে নতুন করে ভর্তির জন্য দাবি জানায়।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার সব কার্যক্রম ৩১ মার্চ শেষ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নাকচ করে দেয়। কারণ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর নতুন করে তারিখ ঘোষণা করলে অন্য কিছু অর্থ বহন করবে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজন মৃধার নেতৃত্বে আনিছুজ্জামান লিটন, সোহেল, মোস্তফাসহ কয়েকজন নেতাকর্মী উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী জিল্লুর রহমানের কক্ষ ভাঙচুর করে চলে যান।
এদিকে ভাঙচুরের ঘটনায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খান বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নেতাকর্মীদের টেন্টে নিয়ে আসি।”
এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, “কার ইন্ধনে হঠাৎ করে আমার ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পিএসের রুম ভাঙচুর বুঝতে পারছি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাৎক্ষণিক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”