ধর্মঘটের চার দিনে হিলি বন্দর, পেঁয়াজ চড়ল

image_82177_0হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। তাতে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ পণ্য ওঠানো-নামানো ও পরিবহণের কাজ। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা।

আমদানি পণ্যে মেনিফিস্ট বা ট্রাক চালানে বিজিবির সিল মারার প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বন্দরের ব্যবসায়ীসহ বন্দরসংশ্লিষ্ট সব সংগঠন। গত বুধবার থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেনি এবং দেশ থেকে রফতানিপণ্য নিয়ে কোনো ট্রাক ভারতে যাযনি।

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের প্রতি বন্দরের ট্রাক ও কুলি-শ্রমিকসহ বন্দরসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো একাত্মতা ঘোষণা করায় আরো স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি। প্রথম দিন থেকেই বন্ধ রয়েছে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা ওয়ার হাউজে ট্রাকে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ। ফলে বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম হায়দার জানান, বন্দরের আমদানি-রফতানির পাশাপাশি পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ মাসুল আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বন্দরের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে হিলির পেঁয়াজের বাজারে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজের আড়তগুলো ঘুরে জানা গেছে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা কেজি দরে। অথচ এই পেঁয়াজ কয়েক দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ছাইফুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। আর এ কারণেই দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। আমদানি-রফতানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *