সামনে রমজান। নিত্যপণ্যের মজুদ বাড়ানো নিয়ে অশ্চিয়তায় টিসিবি।
রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মজুদ বাড়াতে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) অনুকূলে ৩শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের শেষদিকে এসে টিসিবিকে এই বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে চলতি বছরের শুরুতেই এ চিঠি লিখেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রমজানের আগে আবারো এই টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি লেখা হবে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ।
রমজানের সময় ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, চিনি ও খেজুরের চাহিদা বাড়ে। তাই এগুলোর দাম বেড়ে যায় সবার আগে এ সংকট এড়াতেই স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য আগেভাগে বরাদ্দ চেয়েছিল টিসিবি। তবে মাহবুব আহমেদ জানান, রমজানে যে কোন মূল্যে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগই নেওয়া হবে।
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে ডিলারদের মাধ্যমে নির্ধারিত কয়েকটি পণ্য টিসিবি বাজারজাত করবে বলে জনিয়েছেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার জাহান তালুকদার। তিনি জানিয়েছেন, ডিলার ছাড়াও রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে খোলা ট্রাকে করেও পণ্য বিক্রি করা হবে। নিজস্ব অর্থায়নে রমজানের এসব আয়োজন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই টিসিবির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল বলে জানান চেয়ারম্যান।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরও টিসিবির জন্য ২শ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সে বছরও বরাদ্দ দেয়নি। বাংলাট্রিবিউন