দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি সবকিছু স্বচ্ছ করে দেয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র এই তথ্যপ্রযুক্তি। আমরা একে কাজে লাগাতে চাই।’
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪’ শীর্ষক তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্মেলনের উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী ৪-৭ জুন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বেসিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরে যোগাযোগ করা হলে জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাত দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমে বড় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা বেশ কঠিন। অবশ্য খুচরা দুর্নীতি সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
উদাহরণ দিয়ে জামিলুর রেজা বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের দরপত্রে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডার-পদ্ধতি চালু হয়েছে। তার পরও কেন মারামারি হয়? বুঝতে হবে যে অন্য কোথাও সমস্যা রয়েছে।’
দেশের ব্যাংক খাতের দুর্নীতি রোধে তার পরও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতি আস্থা রাখতে চান জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এই যে হল-মার্কসহ চার হাজার কোটি টাকার বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে, ধরার ক্ষেত্রে কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সহায়তা ছিল।’
বেসিসের সাবেক সভাপতি এ কে এম ফাহিম মাশরুর বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এভাবে—টেন্ডার, পরীক্ষা, নিয়োগসহ সব ধরনের সেবা খাতে সহজেই তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়। পাসপোর্ট ও বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্সের ক্ষেত্রে তা চালুও হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রমাণ থাকার কারণেই দুর্নীতি কমে, এ কথা উল্লেখ করে মাশরুর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমানের সঙ্গে নূর হোসেনের ফোনালাপের যদি রেকর্ড না থাকত, তখন হয়তো তাঁর অস্বীকারের সুযোগ ছিল। এখন অস্বীকার করতে চাইলেও সম্ভব না।’ সরকার চাইলে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি কমাতে পারে বলে মনে করেন তিনি।