সাভারে রানা প্লাজার পেছনের ধ্বংসস্তূপে ১০টি হাড় ও একটি মাথার খুলি পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে পথশিশুরা এসব কঙ্কাল খুঁজে পায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা এসব হাড় ও খুলি নিয়ে এসে রানা প্লাজার সামনে স্থাপিত স্মৃতি স্তম্ভের বেদিতে রেখে পুলিশকে খবর দেন।
সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে এই হাড়গোড় থানায় নিয়ে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত বছরের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ১৪ মে সেখানে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর পরও রানা প্লাজার পাশে ফেলে রাখা ধ্বংসস্তূপ থেকে কঙ্কাল ও মাথার খুলিসহ হাড়গোড় উদ্ধার হচ্ছে।
ভবনধসের আট মাস পর গত ১৩ ডিসেম্বর প্রথম পথশিশুরা রড ও বিভিন্ন ধরনের পরিত্যক্ত মালামাল কুড়াতে গিয়ে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একটি কঙ্কাল ও একটি মাথার খুলি উদ্ধার করে।
কুড়িয়ে পাওয়া কঙ্কালটি ছিল ধসে পড়া রানা প্লাজার তিন তলার নিউ ওয়েব বটমসের সুইং সহকারী ওবায়দুল হকের। তিনি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ডাকিরকান্দা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে। এরপর দফায় দফায় ওই ধ্বংসস্তূপে আরও বেশ কিছু হাড়গোড় ও খুলি পাওয়া যায়।
সরকারি হিসাবে নিখোঁজের সংখ্যা বলা হয়েছে ৩৩২ জন। কিন্তু লাশের দাবিদার রয়েছে ৫৫৩টি পরিবার। দুই হিসাবের মধ্যে পার্থক্য ২২১। তাই এই ২২১ জনের লাশ অন্য কোনোভাবে নিখোঁজ থাকতে পারে।