বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি সদস্যের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আবারো মিয়ানমানের রাষ্ট্রদূত থান মিউ মিন্টকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছার পর মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুস্তফা কামাল তার সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূতকে বিষয়টি তার সরকারকে অবহিত করতে বলা হয়। সীমান্তে গুলিবর্ষণ বন্ধ ও নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত দেয়ার তাগিদ দিয়ে রাষ্ট্রদূতকে বার্তা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত ওই বক্তব্য তার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবারও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল।
এদিকে, মিয়ানমার সীমান্তে গুলিবর্ষণ, সীমান্তে উত্তেজনা ও বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনা পর্যালোচনায় দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, আগামী ৯ জুন ইয়াঙ্গুনে বৈঠকের জন্য বিজিবি মহপরিচালককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজিপি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে সকালে বিজিবির সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তের (নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে) ৫২ নম্বর পিলারের কাছে পাইনছড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের ১ নম্বর সেক্টরের ভেন্ডুলা বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) ফাঁড়ির সীমান্তরক্ষীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি-সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হলে তাকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, ওই দিন দুপুরে মিয়ানমারে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হলে লাশটি সেখানকার সীমান্তের ১ নম্বর সেক্টরে নেওয়া হয়। এরপর বিজিপি সেখানে প্রচার করে যে গুলিতে আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন) বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের এক সদস্য মারা গেছেন। মিয়ানমারের গণমাধ্যমও সে খবর ফলাও করে প্রচার করে।
কিন্তু বিজিবি মিজানুর রহমানকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানালে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তখন বিজিপি লাশ ফেরত দিতে গড়িমসি করে।