সফরসূচি অনুযায়ী চলতি বছরের প্রতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিদেশ সফর করতে হবে। মোদি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে যাচ্ছেন ঘরের পাশে পাহাড়ঘেরা ভুটানে। এই মাসেই তিনি ভুটান যাবেন। তবে দিন এখনো ঠিক হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন আজ গতকাল শুক্রবার এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটান যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। ভুটান সফরের পর এ মাসের ২৬ তারিখে সুষমা বাংলাদেশে যাবেন। আকবরউদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেশী কোন দেশে যাবেন তা ঠিক সময়েই ঘোষিত হবে। দিন নিয়ে কোনো জল্পনার প্রয়োজন নেই।’
এত দিন শোনা যাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর হবে জাপান। সেখানে ভুটান কেন, তার জবাবে আকবরউদ্দিন বলেন, ‘শপথ গ্রহণে সার্ক দেশগুলোর প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোকে কতখানি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভুটান সফর সেই নিরিখেই।’
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকে ‘তাঁর ইনবক্স বোঝাই’ বলে বর্ণনা করেন আকবরউদ্দিন। জুন মাসে ভুটান, জুলাইয়ে ‘ব্রিকস’ সম্মেলন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের বৈঠক। ওই সময়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিপক্ষীয় সফরের দিনক্ষণ ঠিক করা হচ্ছে। পূর্ব এশিয়া ও আশিয়ান সম্মেলন অক্টোবরে। নভেম্বরে জি-২০ সম্মেলন। ওই মাসেই সার্ক সম্মেলন হচ্ছে কাঠমান্ডুতে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই যাবেন। এ ছাড়া ২০টি দেশের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে। সেগুলোও সফরের তালিকায় চলে আসবে ঠিক সময়ে।
আকবরউদ্দিন আরও জানান, ইউক্রেনে গোলমালের ফলে প্রায় এক হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীকে বিশেষ বিমানে কিয়েভে নিয়ে আসা হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে অন্য সার্ক সদস্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও। ভারতকে তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীও রয়েছে
দেশের বেশির ভাগটাই তো সমভূমি। আর সেখানে রোদের আলোয় মাখামাখি প্রায় বছরজুড়েই। এখানে আর যাই হোক রোদ বা সূর্যালোকের তো অভাব নেই। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষই ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতায় ভোগেন। এটা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমন এক পুষ্টি উপাদান, যা শরীর নিজেই তৈরি করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে। শুধু শাক-সবজি আর আঁঁশযুক্ত খাবার খেলে এটা পাওয়া যাবে না। এই গ্রীষ্মের আলো ঝলমলে দিনগুলোতে সুযোগ পেলেই গায়ে রোদ মাখুন। আপনার পুরো শরীর এমনকি হাড়-মজ্জাও এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের অভাবে হাড় ও পেশি দুর্বল থাকে। শরীরে ক্লান্তি আসে এবং ত্বকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে দস্তা গ্রহণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে শরীর। একইভাবে ভিটামিন ডি না থাকলে যথাযথভাবে ক্যালসিয়ামও গ্রহণ করতে পারে না শরীর। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুটিয়ে যাওয়া এবং হূদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত। আর হাড় ও পেশির রোগের একটা বড় কারণই তো এই ভিটামিনের ঘাটতি।
নাগরিক জীবনে অনেকেরই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির আশঙ্কা থাকে। দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময়ই অফিস-আদালত, দোকানপাট কিংবা ঘরবাড়ির ভেতরে থাকা এর একটা প্রধান কারণ।
বিশেষভাবে ভিটামিন ডি দরকার যখন
বয়স্ক ব্যক্তি, হাড় ভাঙার সমস্যায় ভুগছেন কিংবা সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন—এমন মানুষদের বিশেষভাবে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা দরকার। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শরীর বাড়ন্ত থাকে বলে এ সময় হাড় ও পেশির গঠন ঠিকঠাক রাখতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া দরকার।
এ ছাড়া অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মাত্রা ঠিকঠাক আছে কিনা তা জেনে নিতে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা দরকার। সময়মতো ধরা পড়লে অনেক ঘাটতিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবার
ভিটামিন ডি পেতে সরাসরি সূর্যালোকে তো যেতে হবেই এর সঙ্গে বাছাই করা কিছু খাবারও খেতে পারি আমরা। নিচে তেমন কয়েকটি খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো—
পনির: বেশির ভাগ পনিরেই কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তবে, ভেড়ার দুধ থেকে তৈরি ইতালীয় রিকোত্তা পনিরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
মাশরুম: নিরামিষাশীদের জন্য ভিটামিন ডি-এর খুবই ভালো একটা উত্স মাশরুম। ভালো মানের ভিটামিন ডি পাওয়া যায় শিতেক মাশরুমে।
ডিম: ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে সুলভ উত্স ডিম। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে।
মাছ: বেশির ভাগ মাছেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। মাছের তেল বিশেষত ‘কডলিভার অয়েল’ ভিটামিন ডি-এর বিকল্প উত্স হিসেবে বহুল জনপ্রিয়।