লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূ ও এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাদের দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দু’জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে।
শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রাম থেকে সেলিনা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেলিনা উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে।
চেয়ারে বসানো এবং গামছার সাহায্যে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১ মাস থেকে সেলিনা ও জাহাঙ্গীর চাঁদখালী গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেতন। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো।
সেলিনার বাবা সিরাজ মিয়া জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায় ৭ মাস আগে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আবদুল মালেকের পুত্র জাহাঙ্গীর তার মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে বলে জানান তিনি।
সদর থানার এসআই মো. নাজিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সেলিনার স্বামী জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে, শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে মো. মাকছুদুর রহমান (২৬) নামে এক যুবকের।
সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের হোগল ডুহরী গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মাকছুদ একই উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছোলে। দু’বছর আগে তিনি হোগল ডুহরী গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে শুক্করী বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের ৭ মাসের একটি মেয়ে আছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বুধবার পারিবারিক বিরোধের জেরে তার সাথে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা মাকছুদকে মারধর করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় তার শ্বশুরের ঘরের পাশের একটি ছোট আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অব¯’ায় তার মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ২টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। মাকছুদ পেশায় জেনারেটর মে¯‘রী ছিলেন।
মাকছুদের বাবা নুর মোহাম্মদ বলেন, মাকছুদের সাথে তার সন্ধ্যার দিকে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ঘটনার আলামত দেখে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি জানান।
সদর থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন জানান, পৃথক ঘটনায় মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।