তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বড় আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪ আজ শেষ হচ্ছে৷ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আয়োজিত চার দিনের এই মেলা চলছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে৷ এ আয়োজনে আছে তিনটি মেলা—বেসিস সফটএক্সপো, ই-গভর্ন্যান্স এক্সপো ও মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো৷
মেলা শুরুর দিন থেকেই এতে চলছে সেমিনার ও কর্মশালা৷ দেশি-বিদেশি ১৩০ জন বক্তা তাঁদের উদ্ভাবন, উদ্যোগ ও সফলতার গল্প শোনাচ্ছেন এসব আয়োজনে৷ বাংলাদেিশ গেমস নির্মাতা ডেভেলপার, বিশেষ করে যাঁরা মোবাইল গেমস তৈরি করেন বা করতে চান, তাঁদের জন্য গত বৃহস্পতিবার আয়োজন করা হয় বিশেষ এক সেমিনারের৷ ‘ডেভেলপিং দ্য ভার্চুয়াল গেম ইন্ডাস্ট্রি—দ্য বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শিরোনামের এই সেমিনারে আন্তর্জাতিক গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গেমলফটের বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার কান্ট্রি ম্যানেজার সারাবজিত সিং ও বাংলাদেশি গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়াড্রল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ তাঁদের নিজ নিজ প্রেক্ষাপট থেকে অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাঁরা তরুণ গেম নির্মাতাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। অ্যাপ নির্মাতা এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আশ্রাফ আবীর জানান, মূলত মোবাইলভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে নানাভাবে সহায়তা করার জন্য এই উদ্যোগ। সেবাভিত্তিক নয়, বরং পণ্যভিত্তিক ব্যবসা স্থাপন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরে একই স্থানে নতুন প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বিষয়বস্তু বা কন্টেন্ট নিয়ে আরেকটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তারা বলেন, বিশ্বে মোবাইল ফোনে তথ্যের ব্যবহার ২০১৩ সালে প্রায় ৮১ শতাংশ বেড়েছে। আর এ েক্ষত্রে বাংলাদেশের বাজার বেশ বড়৷ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী জাহিদ হোসেন জানান, ‘আমি এসেছি নতুন কিছু জানার জন্য৷ এই শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু তা জানতে চাই। এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষদের সাথে পরিচত হওয়ার সুযোগ এর চেয়ে ভালো আর কোথায় পাওয়া যাবে?’
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই মেলায় আগ্রহী দর্শকদের পদচারণা দেখা গেছে৷ নতুন প্রযুক্তি, বিভিন্ন সেবা, অভিনব অ্যাপসই ছিল দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে৷ মেলা আজ সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে৷ এতে বিনা মূল্যেই প্রবেশ করা যায়v