অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বড় বোনের মৃত্যু হলেও মুমূর্ষু অবস্থায় ছোট বোনকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত শিল্পী আক্তার (২৫) ও আহত শিলা আক্তার (২৩) সাভারের হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকার বাবুল মিয়ার কন্যা। তারা দুজনেই বাক-প্রতিবন্ধী।
শনিবার ভোরে সাভার হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকায় শিলার স্বামী শরীফ হোসেন এ ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
তবে পুলিশ নিহতের স্বামী তারেক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তারেক হামলাকারী শরীফের ছোট ভাই।
সাভার মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানার দড়িচন্দ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা গাড়ি চালক শরীফ হোসেনের সাথে বিয়ে হয় বাক-প্রতিবন্ধী শিলা আক্তারের।
এর কিছুদিন পর শরীফের ছোট ভাই তারেক বিয়ে করে বাক-প্রতিবন্ধী বড় বোন শিল্পী আক্তারকে। বিয়ের পর দুই ভাই যাদুরচর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকত।
পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই ওই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। শুক্রবার দুই ভাই টাঙ্গাইলে নিজেদের বাড়িতে যায়। সেখানেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এদিকে নিজ বাড়িতে দুই বোন রাতে একসাথে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে শীলার স্বামী শরীফ ঘরে ঢুকে দুই বোনকে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, “আর এ দৃশ্য দেখে ফেলে শিল্পীর ছয় বছরের শিশু কন্যা তানিয়া।”
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিল্পী মারা যান। আর মুমূর্ষু অবস্থায় শিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সে শঙ্কামুক্ত বলে পুলিশকে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
ওসি আরও জানান, শরীফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারই ছোট ভাই নিহতের স্বামী তারেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।