বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফার ওপর কর অব্যাহতি চেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ শনিবার দুপুরে মতিঝিলে ডিএসইর কার্যালয়ে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই অব্যাহতি চাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে করারোপ করায় কিছু অসুবিধাও আছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে ডিএসই সন্তুষ্ট না হলেও পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের মনোযোগ রয়েছে বলে মনে করে ডিএসই।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ডিএসইর চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মিয়া বলেন, ‘বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যা পেয়েছি এটাই শেষ নয়, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আরও কিছু পাওয়ার চেষ্টা করব আমরা।’
প্রস্তাবিত বাজেটে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্জিত মুনাফার ওপর কর অব্যাহতির সুবিধা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। অর্জিত মুনাফা ১০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ৩ শতাংশ এবং ২০ লাখ টাকা অতিক্রম করলে ৫ শতাংশ হারে উত্স কর আরোপ করা হয়েছে। এটা প্রয়োগ সম্ভব নয়।’ তাই বিনিয়োগকারীদের অর্জিত মুনাফার ওপর কর অব্যাহতি চলমান রাখার দাবি জানান তিনি।
স্বপন কুমার বালা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ডিমিউচুয়ালাইজড-পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে ক্রমহ্রাসমান হারে পাঁচ বছরের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এটাকে ভালো দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য পাঁচ বছর পুরোপুরি কর অবকাশ সুবিধার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান খান, পরিচালক রুহুল আমিন প্রমুখ।