আরিফ উদ্দিন গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম। ইতোমধ্যে এসব গ্রামের ১শ’ ৫০টি পরিবারের উর্বরা ফসলী জমি, গাছপালা এবং বসতবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এছাড়া হুমকির মধ্যে রয়েছে আরো ২শ’ ২৫টি পরিবার। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গুয়াবাড়ির চর, উত্তর দিঘলকান্দি, দক্ষিণ দীঘলকান্দি ও পাতিলবাড়ি, ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের গাবগাছি, ফুলছড়ি, জামিরার চর, এরেন্ডাবাড়ির ইউনিয়নের সন্যাসীর চর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি এবং সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানি ও মোল্লারচরের মৌলবীর চর গ্রাম জুড়েই এই ভাঙন শুরু হয়েছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।