রাশেদ রাব্বি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সকল বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সপ্তাহে অন্তত একদিন গরিব রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রোববার বিকালে হোটেল রূপসী বাংলায় ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিচালনা সহায়িকার দ্বিতীয় সংস্কারের মোড়ক উšে§াচন ও সার্বক্ষণিক নিরাপদ প্রসবসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, কানাডার বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যানেট ডুরনো প্রমুখ।
কানাডা সরকারের বৈদেশিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিভাগের আর্থিক সহযোগিতায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্প (ওয়াচ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশের গরীব ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর গর্ভবর্তী মায়ের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি। তাই বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে সপ্তাহে অন্তত একদিন বিনামূল্যে প্রসব ও গর্ভবর্তীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বল্পমূল্যে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। তবে সরকারের একার পক্ষে বিপুল সংখ্যক জনগণের জন্য সেবা নিশ্চিত করা দুরূহ। এ জন্য বিত্তশালী বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর মালিকদের এগিয়ে আসা উচিত। মন্ত্রী বলেন, দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনও বলেছেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সার্বক্ষণিক নিরাপদ প্রসব কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ডা. মেরী রশীদ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. তাপস রঞ্জন দাস। এ সময় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিরাপদে প্রসব সুবিধা প্রাপ্ত দুইজন মা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউএইচএফডব্লিউসি পরিচালনা কার্যক্রম সহায়িকার দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উšে§াচন করেন।