আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পৌর শহরের সুন্দরগঞ্জ-মীরগঞ্জ হাট ব্রীজটি অচলবস্থা দেখা দিয়েছে। একাধিক স্থানে ফাটল, যে কোন মহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম হাট মীরগঞ্জ হাট। এখানে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, চিলমারী, গাইবান্ধার বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় ব্যবসায়ী আসে ব্যবসা বাণিজ্য করা জন্য। মীরগঞ্জ হাট সপ্তাহে ২ দিন শনিবার ও বুধবার বসে। এই হাটে রয়েছে মিল, ছোট ছোট কলকারখানা, সমগ্র উত্তরাঞ্চলের রড সিমেন্ট ও ঢেউ টিনের পরিবেশক। প্রতিদিন লক্ষ্য করা যায় ওই ব্রীজের উপর দিয়ে ৫ থেকে ৭ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গাড়িগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল¬া সহ দূর দূরান্ত থেকে আসে। ইতোপূর্বেই ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্রীজের পাশেই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। লেখা আছে তিন টন মাল বহনকারি যানবাহন ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করা নিষেধ। অথচ চলছে ৫ থেকে ৭ টন বহনকারি যানবাহন। যে কোন মহূর্তেই ব্রীজটি ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাতে প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘদিনেও ব্রীজ সংস্কার, মেরামত ও পুনঃনির্মানে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কতৃৃপক্ষ। স্থানীয় জনগণ এ জন্য মানববন্ধন, মিছিল মিটিংও হয়েছে। ঠিক কতসালে ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছে তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারছে না। ব্রীজ সংলগ্ন মীরগঞ্জ বাজারস্থ প্রবীণ হোমিও ডাক্তার প্রিয়নাথ বর্মন জানান, ব্রিটিশ আমলে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বীরমুক্তিযোদ্ধারা ব্রীজের নিচে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর যে কোন সময়ে ব্রীজের নিচের অংশ মেরামত করা হয়েছে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে ব্রীজের দু’পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। ঢালাই খসে গেছে। বীম পিলার থেকে খোয়া বালি ধ্বসে গিয়ে রড বেরিয়ে পড়েছে ও ১০ ইঞ্চি পরিমাণ ফাটল দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ি আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু জানান, ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ করা আশু— প্রয়োজন। তা না হলে যে কোন সময় যানবাহনসহ ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে। পৌর প্যানেল মেয়র লুৎফর রহমান মুক্তা জানান, এটি জেলা পরিষদের সড়ক। তাই পৌরসভার কোন কর্তৃত্ব নাই।