দ্বিতীয় রাউন্ডই ব্রাজিলের জন্য ‘ফাইনাল’

8b728700af48181afe3b90c5a4d0a027-Brazil-secondঘরের মাটিতে বিশ্বকাপ। ফ্রেড-অস্কার-নেইমারদের নিয়ে গড়া ব্রাজিল দলটাও দুর্দান্ত। পুরো দলের তত্ত্বাবধানে আছেন ফেলিপে স্কলারির মতো পরীক্ষিত কোচ। ব্রাজিলই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বসেরার মুকুট পরবে—এমন ভবিষ্যদ্বাণী অনেকেই করছেন। কিন্তু শুরু থেকেই সতর্ক না থাকলে দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েই থেমে যেতে পারে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান। স্বাগতিকদের ভয়টাও সেখানেই।
গতবারের শিরোপাজয়ী স্পেন এবারের বিশ্বকাপেও যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই হুমকি। সহজেই জাভি-ইনিয়েস্তা-ফেব্রিগাসদের মুখোমুখি কেউই হতে চাইবে না। ব্রাজিলও হয়তো এড়াতেই চাইবে স্পেনের সর্বজয়ী দলটিকে। কিন্তু গ্রুপ পর্বে একটু পা হড়কালেই দ্বিতীয় রাউন্ডে স্প্যানিশদের সামনে পড়ার আশঙ্কা আছে সেলেসাওদের।
বিপদের শেষ এখানেই নয়। স্পেন মুখোমুখি না হলেও গতবারের আরেক ফাইনালিস্ট হল্যান্ডকেই সম্ভবত প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ব্রাজিল। দ্বিতীয় রাউন্ডেই গতবারের ফাইনাল খেলা দুই দলের মুখোমুখি হওয়া—ব্রাজিলের জন্য এই ম্যাচটাই যেন আরেক ফাইনাল!
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের খেলতে হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ খেলবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। ‘বি’ গ্রুপে আছে স্পেন, হল্যান্ড, চিলি ও অস্ট্রেলিয়া। হিসাবমতো ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা স্পেনের, রানার্সআপ হল্যান্ড। এটা তাই এক রকম নিশ্চিতই দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ স্পেন নয়তো হল্যান্ড।
এই দুইয়ের মধ্যে বেছে নিতে হলে ব্রাজিল হয়তো স্পেনকেই এড়াতে চাইবে। গত কনফেডারেশনস কাপের ফাইনালে দেল বস্কের দলকে নাস্তানাবুদ করলেও বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি এত সাততাড়াতাড়ি কেইবা হতে চায়!
‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলকে খেলতে হবে ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আগের দুটি মুখোমুখি লড়াইয়ে কখনোই হারের মুখ দেখতে হয়নি ব্রাজিলকে। ২০০৬ বিশ্বকাপেও ব্রাজিল পেয়েছিল ১-০ গোলের জয়।
গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের মূল হুমকি হতে পারে মেক্সিকো। গত বছরের কনফেডারেশনস কাপে মেক্সিকোকে সহজেই ২-০ গোলে হারিয়েছিলেন স্কলারির শিষ্যরা। কিন্তু তার আগের বছর দুইবার হারের মুখ দেখতে হয়েছে সেলেসাওদের। ২০১২ অলিম্পিক ফাইনালেও ব্রাজিলকে হারিয়ে সোনা জিতেছিল মেক্সিকো।
ক্যামেরুন বিশ্বকাপে অংশই নিচ্ছে কিছুটা টলোমলো অবস্থায়। বেতন-বোনাস টানাপোড়েন চলছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ও খেলোয়াড়দের মধ্যে। কিন্তু স্যামুয়েল ইতো, অ্যালেক্স সংরাও যেকোনো প্রতিপক্ষকেই চমতে দিতে পারেন।
কাজেই নিজেদের মাটিতে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সফল হতে চাইলে শুরু থেকেই সাবধান থাকতে হবে ব্রাজিলকে। এএফপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *