প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং চীনের বাজারগুলোর মধ্যে একটি চমৎকার জায়গা। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ লাভজনক গন্তব্য।
মঙ্গলবার বেইজিংয়ে চায়না ইনস্টিটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে বাংলাদেশের অগ্রগতি: বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা ফোরাম’ শীর্ষক সেমিনারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সেবা খাতে বিনিয়োগ চীনা ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক ও অর্থবহ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ, সিরামিক, পর্যটন, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, পেট্রোকেমিক্যাল এবং কৃষি খাতে চীনের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগেও এগিয়ে আসতে পারেন।
দুই দেশের বাণিজ্যে বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, সিরামিক, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির মাধ্যমে এই বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে।
এপিটিএ’র অধীনে ২০১০ সালের জুলাই থেকে চীনে বাংলাদেশের ৪ হাজার ৭০০ পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আশা করি বাংলাদেশের বাকি সব রপ্তানিযোগ্য পণ্যও চীনের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ চীন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এর মধ্যে দিয়ে চীন বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সহযোগী দেশে পরিণত হয়েছে।
২০০৭ সাল থেকেই চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় আমদানি উৎস বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগচিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের ৪৯টি কোম্পানি বাংলাদেশের ৮টি ইপিজেডে ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া, চীনের আরো ৩০০ কোম্পানির ২৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাংলাদেশের বিনিয়োগ বোর্ডের কাছে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
সিসিপিআইটি’র চেয়ারম্যান জিয়াং জেংউই’র সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, চীনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং কর্পোরেট বডি, ম্যানুফ্যাকচারিং ও বাণিজ্যিক কোম্পানি, বিনিয়োগ গ্রুপ, নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রকৌশল কোম্পানিগুলোর প্রধানরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।