ঢাকা: জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর তার লাশ খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া কেন দেখতে চাননি এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর কেনইবা তড়িঘড়ি করে সেনাবাহিনীর ১২জন অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হলো তা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
শনিবার বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার পর তার লাশ খালেদা জিয়া দেখতে চাননি। তার বড় ছেলে তারেকের তো বয়সও কম ছিলনা। সেও কেন লাশ দেখতে চায়নি। আজ আমাকে ওই হত্যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াইর রহমান হত্যা মামলা কমপক্ষে ১৫০ বার চট্টগ্রাম আদালতে উঠেছে। কই, কেউ তো মুভ করেননি। তারা তো ক্ষমতায় ছিলেন। বরং তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা আর ওই মামলার বিচার করবে না, তদন্ত করবে না।
এর আগে দেওয়া বক্তৃতায় চীন সফরকে সফল ও ফলপ্রসু বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে রয়েছে চীনের সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা, দেশটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানোসহ দ্বিপাক্ষিক নানা সহযোগিতার আশ্বাস।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবো। এজন্য আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য কাজ করছি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ও শান্তির দেশে পরিণত করতে চাই। আসুন যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাই। আর সবাই সহযোগিতা করলে এটা বিষয় না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।
চীনে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বুধবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। তার এই সফরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং দুটি বিনিময়পত্র সই হয়েছে।
গত সোমবার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খা ছিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হয়। এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় চীন ।
এসব বিষয়সহ চীন সফরের বিস্তারিত তুলতে ধরতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।