প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে বেসরকারিভাবেই- ড. আকবর আলি খান

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করতে হবে বেসরকারিভাবে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সাবেক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
 
তিনি বলেন, আর এ জন্য দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু, আমাদের দেশে বেসরকারি বিনিয়োগে মন্দা চলছে। 
 
শনিবার সকালে রাজধানীর লেকশোর হেটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৪-১৫ পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ সব কথা বলেন।
 
আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগের এমন দুরাবস্থার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সুশাসনের অভাব এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়া। তাই, আমরা যদি এ দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত না করতে পারি, তবে দেশকে মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত করার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না।
 
তিনি বলেন, বলা হয়ে থাকে, আমাদের দেশে দারিদ্র্য কমেছে। অনেক সময় বলা হয়, দারিদ্র্য ৭০ শতাংশ থেকে কমে ২৪ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু, সেটা বাংলাদেশের পেক্ষাপটে। আন্তর্জাতিক পেক্ষাপট বিবেচনা করলে দারিদ্র্যের হার এখনও ৮০ শতাংশের বেশি। দেশের মূল্যস্ফীতি একটু বেড়ে গেলে তারা আবার দারিদ্র্যসীমার মধ্যে চলে আসবেন।
 
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একান্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে আকবর আলি খান বলেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত্য গড়ে তুলতে না পারলে বাজেট বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। তাই, বাজেট বাস্তবায়ন করা যেমন সরকারের দায়িত্ব তেমনি রাজনৈতিক ঐক্যমত্য গড়ে তোলাও তাদের দায়িত্ব।
 
রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। কিন্তু, কীভাবে অতিরিক্ত কর আদায় করা হবে, তা স্পষ্ট করেনি। 
তিনি বলেন, ব্যাংক, বীমা চরম সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজেটে ব্যাংক বীমার সংকট উত্তরণের কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। এছাড়া ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি সরকার।
 
সিপিডি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর, সিপিডির  নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী প্রমুখ। – 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *