কথায় বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমি বলবো সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর তাই সেই স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে অবশ্যই আমাদের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। সেটা সব আবহাওয়ার জন্যই হতে পারে। যেমন- গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত-বসন্ত সব আবহাওয়াতেই।
এখন তীব্র গরম চলছে সারাদেশে। তাই খাবারের ব্যাপারে আপনার সাবধানতার সাথে একটু বাড়তি সাবধানতা যোগ করতে চাই। মনে রাখতে হবে খাদ্যই সুস্বাস্থ্য দেয়। আর সুস্থ দেহ মানে সুস্থ মন। সব মিলিয়ে সুখী জীবন। অর্থাৎ বলা যেতেই পারে- খাদ্যই সকল সুখের মূল। কীভবে? তা-ই দেখা যাক এবার-
অতিরিক্ত মসলাদার খাবার
অতিরিক্ত মসলা শরীরের বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে প্রচুর গরম লাগে। তাতে নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রান্নায় কিছুটা কম মসলা দিতে পারেন অথবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন।
আমিষ খাবার
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত মাংসের খাবার, মাছ ইত্যাদি খাওয়ার উপযুক্ত সময় নয়। এমনকি মুরগির মাংস কিংবা সমুদ্রের প্রাণীসমৃদ্ধ খাবারও গ্রীষ্মকালে শরীরের বিপত্তি ঘটাতে পারে। এসব খাবার শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম নিঃস্বরণ করে। এগুলো গ্রীষ্মকালে হজমের সমস্যা করে। এগুলো খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
তৈলাক্ত খাবার
অতিরিক্ত গরমে তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম। এ ছাড়াও নানা ধরনের ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারে নানা সমস্যা দেখা যায়। যেমন আপনি যখন খাবারটি খাচ্ছেন তখন তা আসলেই খাবার উপযুক্ত থাকছে কিনা সেটা সব সময় পরীক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এসব খাবার গরমে খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। যা সৃষ্টি করে নানা ধরণের পেটের পীড়া, মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
চা ও কফি
শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার একটি অন্যতম পানীয় হচ্ছে চা বা কফি। এসব পানীয়তে ব্যবহৃত চিনি শরীরের পানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এ কারণে গরমের সময় এসব পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
কৃত্রিম সস
খাবার পরিবেশনের সময় আমরা কৃত্রিমভাবে সংরক্ষিত সস ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে যেসব সসে পনির রয়েছে সেগুলো এ সময় সবচেয়ে ক্ষতিকর হবে। তবে কৃত্রিম এসব সসের বদলে প্রাকৃতিক টাটকা সস খাওয়া যেতে পারে।
সামান্য একটু সচেতনতাই পারে আপনার জীবনে যোগ করতে বাড়তি সুখ। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, সুখী থাকুন।