ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নীকারী সংস্থা সারদা সম্পর্কে তথ্য জানতে এবার বলিউডি অভিনেতা তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে সমন পাঠালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
গতকাল মঙ্গলবারই মিঠুনের মুম্বাইয়ের বাসভবনে যায় ইডি’র এক প্রতিনিধি দল। সেখানে আগামী সাত দিনের মধ্যে দেখা করার নির্দেশ দিয়ে সমন ধরানো হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। বলা হয়েছে দিল্লির ইডি’র সদর দফতর কিংবা কলকাতায় অবস্থিত ইডির কার্যালয়ের যে কোন একটিতে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরা দিয়ে সারদা সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে। ইডি’র এক সিনিয়র আধিকারিকও একথা স্বীকার করে বলেছেন ‘জিজ্ঞেসেবাদের জন্য আমরা তাঁকে খুব শীঘ্রই ডেকে পাঠানো হয়েছে’।
উল্লেখ্য সারদার অধীনস্থ একটি গণমাধ্যমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যুক্ত ছিলেন মিঠুন। মাসে বেতন হিসেবে পেতেন ২০ লক্ষ রুপি। যদিও কোম্পানি বন্ধ হওয়ার আগেই মিঠুন চক্রবর্তী সেই পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাই এই ২০ লক্ষ রুপির বিনিময়ে মিঠুন চক্রবর্তী কি কি কাজ করতেন, কীভাবে রুপি পেতেন, কার মাধ্যমেই বা যোগাযোগ হয়েছিল, সারদা কোম্পানি সম্পর্কে কী তথ্য তিনি জানেন কিংবা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মিঠুনের কী সম্পর্ক মূলত এই বিষয়গুলিই স্পষ্টভাবে জানতে চায় ইডি।
সূত্রের খবর সারদাকান্ডের তদনে্তর শুরুতেই ইডি’র পক্ষ থেকে দুইটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। প্রথম তালিকায় রাখা হয়েছিল তাঁদেরই নাম যাঁরা সারদা থেকে লাভবান হয়েছেন এবং সারদা দুর্নীতির সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন। এই তালিকায় ছিল প্রায় ৭০ জনের নাম। এঁদের অধিকাংশকেই ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ইডি। যাঁরা সারদা কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন সময় যুক্ত ছিলেন দ্বিতীয় তালিকায় রাখা হয়েছিল তাঁদের নাম, যাতে সারদা সংক্রান্ত নানা তথ্য দিয়ে তাঁরা সহযোগিতা করতে পারেন। সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে মিঠুনের।