দুটি অসাধারণ গোল করলেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। এমন নান্দনিক গোল দুটিকে ‘সুপার’ গোল আখ্যা দেয়া যায় নির্দ্বিধায়। আর এই দুই সুপার গোলে বিশ্বকাপ থেকেই ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন লিভারপুলের এই তারকা খেলোয়াড়। নিজের দেশের সম্ভাবনাও বাঁচিয়ে রাখলেন তিনি। গত বিশ্বকাপেও আলো ছড়িয়েছিলেন এই তারকা। অনেকে মনে করেছিলেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি বোধ করি শেষ। কিন্তু মাঠেই প্রমাণ করে দিলেন সুয়ারেজ, তিনি ফুরিয়ে যাননি।
আমেরিকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে ইউরোপীয় দলগুলোর ইতিহাস ভালো না। এই সত্যটাই যেনো নতুন করে প্রতিষ্ঠা করলো ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে টানা দুটি ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো তারা।
প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে ২-১ গোলে প্রথম হোঁচটটা খেয়েছিলো ইংলিশরা। এবারও ওই একই স্কোর লাইন উপহার দিয়ে ইংল্যান্ডকে চূড়ান্ত হোঁচটটা খাইয়ে দিলেন সুয়ারেজ। প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে না পারা এই তারকাই প্রথম ম্যাচে হারের পরও বাঁচিয়ে দিলেন উরুগুয়ের স্বপ্ন।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রথম গোল করেন সুয়ারেজ। এডিসন কাভানির ক্রসে দারুণ এক হেড করে গোল করেন তিনি। এরপর মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইংলিশরা। তাল মেলাতে থাকে উরুগুয়েও। বেশ কয়েকটি ফাউল হয় ম্যাচে।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে গোল শোধ করে ইংল্যান্ড। গোল করেন ওয়েইন রুনি। গ্লেন জনসনের সময়োপযোগী পাসে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান তিনি। তার গোলেই সমতায় ফিরে ইংলিশরা।
গত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেজ দ্বিতীয় আঘাত হানেন ৮৫ মিনিটে। প্রায় একা প্রচেষ্টায় গোলটি করেন তিনি। এই গোলই জয় নিশ্চিত করে উরুগুয়ের, আর বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ডের। ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে গেলো ইংলিশদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন। কাগজে কলমে একটু সুযোগ এখনো আছে, তবে তা খুবই কঠিন।