কর আইনে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির কর হারে ১০% ব্যবধান থাকলেও ঘোষিত বাজেটে তা উপেক্ষা করা হয়েছে। বাজেটে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহার কমানোর প্রস্তাব করা হলেও তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার বহাল রাখা হয়েছে। এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে বৈষম্যের কবলে পড়বে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। এটি পুঁজিবাজারের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ এ কথা বলেছে। সংগঠনটি তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানোর দাবি জানিয়েছে। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের কার্যালয়ে চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানায় বিএপিএলসি’র সভাপতি তপন চৌধুরী। এ সময় এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম, বিএপিএলসি’র সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনূস, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজম জে চৌধুরী ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। তপন চৌধুরী বলেন, আগামী বাজেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার ২৭.৫% বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির করহার ৩৭ দশমিক ৫০% থেকে কমিয়ে ৩৫% করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে কর বৈষম্য করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে সরকারের নিবন্ধনকৃত ১ লাখ ২২ হাজার কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মাত্র ৩১৪টি। বাংলাদেশের আয়কর আইনে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর পার্থক্য ১০% থাকার কথা। কিন্তু বর্তমান প্রস্তাব পাস হলে পুঁজিবাজারের প্রতি বৈষম্য করা হবে। এই বৈষম্যের ফলে বাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে নিরুৎসাহিত হবে। এ সময় তিনি পুঁজিবাজারে ২০% বা তার বেশি লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর কর রেয়াতের পরিমাণ ১০%-এ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেন। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ২০%-এর বেশি লভ্যাংশ প্রদানকারী কোম্পানিগুলোকে বেশি কর দিলে লভ্যাংশের পরিমাণ কমে যাবে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।