বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০১৩ সালের ৩ মার্চে সহিংসতায় জামায়াত-বিএনপির ১৯৩ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলার সংশ্লিষ্ট আদালত।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০১৩ সালের ৩ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীদে চাঁদে দেখা নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে সরকারি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বগুড়া জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (কোর্ট ইন্সপেক্টর) আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নন্দীগ্রাম থানার ভার্রপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাজাহান আলী জানান, জামিন না পাওয়া আসামিদের মধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফজলে রাব্বী তোহা, নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর নজরুল ইসলাম মন্ডল, সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজু, উপজেলা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মো. গালিব, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কারুজ্জমান সোহেল, জামায়াত সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক উল্লেখযোগ্য।
এর আগে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) গাজিউর রহমান জানান, আসামিরা সবাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতের হাজির হয়ে আসামিরা জামিনাবেদন করলে সুনর্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহরিয়ার তারিক আসামিদের প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্দেশ।
পুলিশ সুপার (এএসপি) জানান, সংশ্লিষ্ট মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে ২৬৪ জনের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ আদালতে চার্জশীট প্রদান করে এবং সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় ১৩০ জনকে মামলা থেকে অব্যহতির জন্য সুপারিশ করে পুলিশ।
এছাড়া এই মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৫ জন আসামি পলাতক রয়েছে। যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে