হাসপাতাল কেন ধূমপানমুক্ত হবে না: হাই কোর্ট

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সামলা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ সোমবার এই রুল দেয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তামাকবিরোধী চারটি সংগঠন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, উবিনীগ, ইসি বাংলাদেশ ও প্রজ্ঞার করা রিট আবেদনে আদালত এই আদেশ দিয়েছে।

আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।

মোখলেসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে।

“রুলটা দেয়া হয়েছে বিস্তৃত পরিসরে, যাতে সব হাসপাতালই বোঝায়। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০০৬ এর ৪ ও ৬ ধারা অনুসারে হাসপাতালকে ধূমপানমুক্ত রাখতে এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে বিবাদী তিনটি হাসপাতালকে জানাতে বলা হয়েছে।”

আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য ‘নির্দিষ্ট জায়গা’ বরাদ্দের সুযোগ থাকলেও ওই বিধিমালার ৪ ধারায় হাসপাতালগুলোকে এর বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ ধারায় মানুষকে আইন ও বিধি-নিষেধ সচেতন করতে কর্তৃপক্ষের নানা দায়িত্বের কথা বলা হয়।

রিট আবেদনকারীদের একজন ঢাকা আহছানিয়া মিশন উপ-পরিচালক ইকবাল মাসুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা সম্প্রতি পাঁচটি হাসপাতালের ধূমপান পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের পাশাপাশি শিশু হাসপাতাল ও বারডেম নিয়েও জরিপ করেন তারা।

ইকবাল বলেন, “জরিপে দেখা যায়, সব হাসপাতালেই অবাধে ধূমপান হচ্ছে। এমনকি শিশু হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের কাছাকাছিও ধূমপান করতে আমরা দেখেছি। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সিগারেট এতটাই অবাধে চলছে যে চাহিদা মেটাতে ভেতরেই অনেকগুলো দোকানও গড়ে উঠেছে।”

তিনি বলেন, এছাড়া আইন ও বিধি অনুসারে ‘নো স্মোকিং সাইনও’ তারা দেখেননি।

“এই কারণে জরিপের পর আমরা তাদেরকে উকিল নোটিস পাঠাই। দুটি হাসপাতাল (শিশু হাসপাতাল ও বারডেম) আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বাকিরা উদ্যোগ না নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা রিট আবেদন করি।।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *