ভাঙ্গা (ফরিদপুর ) প্রতিনিধি/আরঃ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের ৬দিন পর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের দীঘলকান্দা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে হতদরিদ্র ৩ সন্তানের জননী বিউটি বেগমের (৩০) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত তাজুল ফকিরের মেয়ে বিউটি বেগমের প্রথম স্বামী বেশ কিছুদিন পূর্বে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায়। গত ৬ মাস পূর্বে ওই গ্রামে কুষ্টিয়া থেকে দিনমজুর খাটতে আসা জনৈক রহমান নামে এক ব্যক্তির সাথে বিউটি বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু বিবাহের পর বিউটি বেগম যখন জানতে পারে রহমান কামলার কাজ করে। স্বামী পছন্দ না হওয়ায় এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। হতদরিদ্র মা সিরিয়া বেগমের সাথেই সন্তানসহ সে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিল। গত ৬ দিন পূর্বে বাড়ি থেকে বের হয়ে মালীগ্রাম যাওয়ার কথা বলে বিউটি বেগম নিখোজ হয়। সেই সাথে নব স্বামীও লাপাত্তা হয়। অনেক খোজাখুজির পর বিউটি বেগমকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী বাড়ির পাশে একটি পাটক্ষেতে তার অর্ধগলিত ও দূর্গন্ধযুক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশ উদ্ধারকারী ভাঙ্গা থানা এস,আই, রাসেল জানান, খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত পূর্বক মৃত্যু রহস্য উৎঘাটিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে অপহরণের পর পাশবিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে লাশটি দূর্বৃত্তরা পাট ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। এদিকে অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী রহমানকে গতকাল গভীর রাতে দীঘলকান্দা গ্রাম থেকে জনগণের সহায়তায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।