বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপিয়ান (ইইউ) পার্লামেন্ট মেম্বার জ্যান ল্যাম্বার্ট।
সম্প্রতি লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ কাউন্সিল-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক নৈশভোজে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জ্যান ল্যাম্বার্ট বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে যা চলছে এতে দেশটিতে গণতন্ত্র বিরাজমান বলা যায় না। মানবাধিকার ও কথা বলার স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। দেশটিতে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাও সঙ্কুচিত।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে এশিয়া বিষয়ক কমিটির সদস্য জ্যান ল্যাম্বার্ট এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “গণতন্ত্রের পূর্ব শর্তই হচ্ছে মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত থাকতে হবে। মানুষের কথা বলার অধিকার, আইনের শাসন গণতন্ত্রের জন্য অবাশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশে এর কোনটাই নেই। র্যাব মানুষ খুন করছে, সরকার বিরোধী দলকে রাজপথে কর্মসূচি পালন করতে দেয় না, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া এসব গণতন্ত্রে চলে না। কিন্তু বাংলাদেশে এই সবই চলতে দেখা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “এই দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরের উপর আস্থা নেই। এরকম আস্থাহীন অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
এ সময় জ্যান ল্যাম্বার্ট তার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ খুবই অতিথি পরায়ন। তারা মানুষকে ভালোবাসতে জানে।”
ন্যশনালিস্ট রিসার্চ কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর এম ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, সিটিজেন মুভমেন্টের আহ্বায়ক এম এ মালেক, শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মামনুন মোর্শেদ, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেস্টা হুমায়ূন কবীর, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আযাদসহ আরো অনেকে।