প্রতিবছর ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। সোমবার দুপুরে ঢাকা রির্পোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তামাকবিরোধী জোটের নেতা এডভোকেট সৈয়দ মাহবুব আলম।
লিখিত বক্তব্যে বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর উচ্চহারে করারোপ ও একটি নীতিমালা প্রণয়ণ করাসহ ৫ দফা দাবি পেশ করা হয়। তামাকের কারণে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের ৮১ ভাগ লোক তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বেশি করে করারোপ করার পক্ষে।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর বিড়ির পিছনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই টাকা দিয়ে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্ম সংস্থান করা সম্ভব।
এছাড়া তামাকজনিত রোগের পিছনে সরকারি হাসপাতালে যে খরচ হয় তা তামাক কোম্পানীগুলি থেকে আদায় করার জন্যও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিগারেট, বিড়ি, জর্দ্দা, গুলসহ তামাকজাত দ্রব্যের ওপর প্রস্তাবিত বাজেটে বেশি পরিমাণ শুল্ক ও করারোপের প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়। মিডিয়ায় তামাক দ্রব্য ব্যবহারের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী আইযুদ্দিন আহমদ ও সঞ্চালক কাজী এনায়েত হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।