যা থাকছে কমপ্লেক্সে
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমপ্লেক্সটির নকশা করার জন্য স্থপতিদের নকশার প্রতিযোগিতা হয়। অবশেষে স্থপতি উইলফ্রিড কুয়েনের নকশা প্রথম হয়ে মনোনীত হয়।
নকশায় মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এক পাশে বর্গাকৃতির একটি সুউচ্চ টাওয়ার রাখা হয়েছে। এরপর এক সারিতে থাকছে গির্জা, মসজিদ ও সিনাগগ। এই তিন ভবনের জায়গার পরিমাণ একই রাখা হয়েছে। তবে প্রার্থনার ধরন ভিন্ন হওয়ার কারণে ভেতরে আকৃতি ও অবকাঠামোর প্রকৌশলগত ভিন্নতা রাখা হয়েছে।
মসজিদ ও সিনাগগ হবে দোতলা। তবে সমান উচ্চতার ভবন হলেও গির্জা হবে একতলা। ভবন তিনটিতে মিনার কিংবা গম্বুজ থাকবে না। মসজিদের ভেতরে ওজু করার বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
নকশাকারের গবেষণা
স্থপতি উইলফ্রিড কুয়েন বিবিসিকে বলেন, ‘আলাদা আলাদা ধর্মের প্রার্থনার কায়দা-কানুনের কথা মাথায় রেখে ভবন তিনটি ভেতরের আসবাব ও অন্যান্য অবকাঠামোর ডিজাইন করা হয়েছে।’
কুয়েন বলেন, তিনি ও তাঁর সহকারীরা এই নকশা করতে গিয়ে তিন ধর্মের উপাসনালয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, তিনি যতটা ভেবেছিলেন এই তিন ধর্মের অনুসারীদের উপাসনার ধরনে তার চেয়ে অনেক বেশি মিল রয়েছে।
কুয়েন বলেন, অতীতে এই তিন ধর্মের উপাসনালয়ের অবকাঠামোতে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। তিনি বলেন, মসজিদে মিনার থাকা বাধ্যতামূলক নয়। গির্জা বা সিনাগগের ক্ষেত্রেও তা-ই। এ কারণে তিনি প্রাচীনকালের ডিজাইন অনুসরণ করেছেন। এর মাধ্যমে এই তিন ধর্মের সাজুয্য যথাসম্ভব উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন