বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত ইতালির সাথে উরুগুয়ের খেলাটি ছিল দু দলের জন্যই বাঁচামরার লড়াই। সেই লড়াই এমন পর্যায়ে পৌছালো যে ইতালির ক্লদিও মারচিসিওকে লালকার্ড দেখিয়ে রেফারিও নাম লেখালেন লড়াইয়ে। দুই দল ৩৯টি ফাউল করল। এরমধ্যে ২০টিই উরুগুয়ের। যে কারণে ইতালির ১০জনকে নিয়ে খেলতে হলো। সবচে মর্মান্তিক ব্যাপারটি ঘটল ইতালির জন্য, সেটা হলো উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ প্রতিপক্ষের একজনকে কাধে কামড় বসিয়ে এবং মাথা দিয়ে ঢুশ মেরেও রেফারির কল্যাণে লালকার্ড পাননি। পেলে হয়তো ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত। কারণ, আজ্জুরিরা বলের নিয়ন্ত্রন রেখেছিল ৫৫% আর উরুগুয়ে ৪৫%। সংঘবদ্ধ আক্রমনও ছিল। কিন্তু হতাশা এমনভাবে আজ্জুরিদের পেয়ে বসেছিল যে, জেতার কথা তারা ভুলেই বসে।
ডি গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে ওঠার জীবন-মরণ লড়াইয়ের ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি প্রথমার্ধে ধীরলয়ে খেলতে শুরু করে। দ্বিতীয়ার্ধে ১০জনকে নিয়ে সেই দলটিই দুর্দান্ত সব আক্রমন শানায়। কারণ ইতোমধ্যেই ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড বিদায় নেওয়ায় এদিনের ম্যাচটিতে তাদের জেতা ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু ভাগ্য তাদের এদিন ১-০ গোলের পরাজয় উপহার দেয়। ফলে গ্রুপ অব ডেথ নামে কুখ্যাত ডি গ্রুপ থেকে ইতালিকে বাদ পড়তে হল। এর আগে বাদ পড়া নিশ্চিত করে আরেক বিশ্বজয়ী ইংল্যান্ড।
কোচ সিজার প্রানদেল্লির ইতালি একাদশ:
জিয়ানলুগি বুফোন (গোলরক্ষক), গিয়র্গি চিয়েলিনি, আন্দ্রে বারজাগলি, লিওনার্দো বুনোচ্চি, মাতিও দারমিয়ান, ক্লাদিও মারচিশিও, আন্দ্রেয়া পিরলো, মারিও বালোতেল্লি, সিরো ইমমোবাইল
কোচ ওস্কার তাভারেজ উরুগুয়ে একাদশ:
ফারনান্দো মুসলেরা (গোলরক্ষক), দিয়েগো গডিন, আলভারো পেরেরা, হোসে গিমেনেজ, মার্টিন ক্যাকারাস, ক্রিস্টিয়ান রড্রিগেজ, নিকোলাস লোডেইরো, আলভারো রিওস, আলভারো গঞ্জালেজ, লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানি।