ছোটবেলা থেকেই আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক আর ব্রাজিলের ঘোর বিপক্ষে। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে দু’টি দেশের খেলাই দেখছি। আর্জেন্টিনার খেলা দেখছি দলটির জেতার প্রত্যাশা নিয়ে আর ব্রাজিলেরটা দেখছি এরা যাতে হারে সেই চাওয়া নিয়ে। এবার শুরুর দিকে এ দু’দলেরই ফর্ম ভাল ছিল না। ইরানের সঙ্গে আর্জেন্টিনার খেলা দেখে তো হতাশায় পড়ে গিয়েছিলাম। ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোন গোল করতে না পারায় আমি ভেবেছিলাম গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়বে আর্জেন্টিনা। কিন্তু শেষ বাঁশি দেয়ার আগে ভক্তদের মুখে ঠিকই হাসি ফুটিয়েছেন মেসি। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত গোল হয়েছে এবং মেসি তা করেছেন, এটাই সবচেয়ে ভাল লেগেছে। আমার প্রত্যাশা, মেসির পায়ের জাদুতে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেবে আর্জেন্টিনা। আমি শৈশবে ম্যারাডোনার ভক্ত ছিলাম। এখন সেই জায়গা দখল করেছেন মেসি। তার খেলায় আলাদা কৌশল আছে, যা বিশ্বের অন্য কোন খেলোয়াড়ের নেই। পাশাপাশি ব্রাজিলের নেইমারের খেলাও ভাল লাগে। তাই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সব খেলা দেখার ইচ্ছা আছে। এ পর্যন্ত দেখেছিও। আর ব্রাজিলের খেলা দেখার আরেকটি কারণ আমার ছেলে ব্রাজিলের সমর্থক। তার বয়স পাঁচ বছর। তাকে ব্রাজিলের জার্সি কিনে দিয়েছি। বাসার বারান্দায় বাবা-ছেলের পছন্দের দুই দলেরই পতাকা টানানো হয়েছে। অনেক মজা করি বাবা-ছেলে। তবে অনেক রাতে খেলা শুরু হওয়ায় একটু সমস্যা হয়ে গেছে। একদিকে ঈদের কাজের চাপ। অন্যদিকে বিশ্বকাপ ফুটবল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুটিংয়ে যেতে হয়। তারপরও কোনটা ছেড়ে দিতে পারছি না।