বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, “ঢাকা সফরের মধ্যে দিয়ে সুষমা স্বরাজ গণতন্ত্র চর্চা এবং দেশকে ভালোবাসার শিক্ষা দিলেন। আমি মূলত তার কাছ থেকে গণতন্ত্র চর্চা ও দেশকে ভালোবাসার শিক্ষাই নিয়েছি।”
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে ফ্রি থিংকাস ফোরাম আয়োজিত ‘ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে এ সরকারের ক্ষমতারোহন সমর্থন করে না ভারত। এ জন্যই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘বিরোধী দলকে সহ্য করতে না পারলে গণতন্ত্র টেকে না।”
অপহরণ, গুম ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া র্যােবকে বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন- এই কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “র্যা ব আজ অর্থের বিনিময়ে মানুষ হত্যা করছে। ফলে র্যাজবের উপর আজ জনগণের কোন আস্থা নেই। সুতরাং র্যা বকে পুনর্গঠন নয়, বিলুপ্তি করতে হবে।”
দুর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে না পারলে জনগণের মুক্তি আসবে না বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম মিয়া। একই সাথে তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া যাবে না।”
তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক নেতাদের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে নিজেদের চিন্তা ও চেতনার পরিবর্তন করার জন্য আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে রাজপথে আমাদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এই জন্য জেল-জুলুমের ভয় করলে চলবে না।”
দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজীসহ আরো অনেকে।