১২ জুন শুরু হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ। দেখতে দেখতে ইতিমধ্যে গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হয়েছে। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ১৬টি দল সুযোগ করে নিয়েছে নকআউট পর্বে। বাকি ১৬টি দল বিদায় নিয়েছে।
শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নকআউট পর্বের লড়াই। এই লড়াইটা মূলত ‘সারভাইভাল ফর দ্য ফিটেস্ট’। যে শক্তিমত্তার লড়াইয়ে জয়ী হবে সেই টিকে থাকবে। যে হেরে যাবে তাকে বিদায় নিতে হবে। এমন কঠিন লড়াইয়ে প্রথমেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল ও চিলি। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে লড়াই। দ্বিতীয় ম্যাচে রাত ২টায় মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া-উরুগুয়ে।
গ্রুপপর্বে ব্রাজিল একটি ম্যাচেও হার মানেনি। প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারায় সেলেকাওরা। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৪-১ গোলে ধরাশায়ী করে। প্রথম দুই ম্যাচে ব্রাজিলকে ছন্দে পাওয়া না গেলেও শেষ ম্যাচে তারা দারুণ খেলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত দিন গড়াবে ততই ভালো খেলবে স্বাগতিকরা। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে।
অন্যদিকে চিলি গ্রুপ পর্বে তাদের দুটি ম্যাচে জয় পায়। একটি ম্যাচে হার মানে। প্রথম ম্যাচে তারা অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বসেরা স্পেনকে ২-০ গোলে হারালেও শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-০ গোলে হার মানে।
চিলির বিপক্ষে আজ ইতিহাসও ব্রাজিলের পক্ষে। ২০০০ সালের পর গেল ১২ বছরে চিলির কাছে হারার কোনো রেকর্ড নেই ব্রাজিলের। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে (৪-১ গোলে) এবং সর্বশেষ ২০১০ বিশ্বকাপে (৩-০ গোলে) এই চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিল।
কিন্তু প্রতিপক্ষ হিসেবে চিলিকে বেশ সমীহ করছেন ব্রাজিল কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি। তবে ঘরের মাঠে চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে মুখিয়ে রয়েছেন নেইমার-অস্কাররা। তবে প্রথম ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় নেইমার ও থিয়াগো সিলভাকে নিয়ে শঙ্কিত স্কলারি। কারণ, আজকের ম্যাচে হলুদ কার্ড পেলেই পরের ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারেন তারা।
অন্যদিকে, স্পেনকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠায় আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বর চিলি। তাই শনিবার ম্যাচে ব্রাজিল কে বিদায় করে দিয়ে তারা উঠতে চায় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেটা সত্যিই পারবে কি না তারা, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েক ঘণ্টা।