খেলা মানে হার-জিত থাকবে। সেটা যে খেলাই হোক না কেন। আর ক্রিকেটতো বলা হয় সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার খেলা। সেই অনিশ্চয়তার খেলায় যখন বাংলাদেশ ভালো করে তখন খুশির জোয়াড় বয়ে যায় বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। আর যদি খারাপ খেলে তার উল্টো রূপ দেখা যায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তাদের জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না। এর কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আইসিসির নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামাল মনে করেন, প্লেয়াররা শ্যুটিং ও বিজ্ঞাপনের দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ছেন।
প্রথম কোন বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির সভাপতি হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন মোস্তফা কামাল। সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আপনারা খেলোয়াড়দের নষ্ট করে দিচ্ছেন। ঢাকা শহরের কোনা-কানচ্চিতে প্লেয়ারদের দেখা যায়। এটা এক সময় ছিল না। আমি তো মেলবোর্নে কোনো প্লেয়ারের ছবি পাইনি। আমিতো লন্ডনে কোনো প্লেয়ারের ছবি পাইনি। প্লেয়াররা এখন প্র্যাকটিস করবে নাকি শ্যুটিং করবে? তারা শ্যুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়। এগুলো নিয়ে আসলে কি বলব। চাচা-ভাতিজা, নানা-নাতি, আত্মীয়স্বজন দিয়ে ক্রিকেটে ভরে যাচ্ছে। যদি এগুলো ক্রিকেটে ঢুকে পড়ে তাহলে আমাদের জাতির প্রতি সঠিক বিচার করা হবে না। ক্রিকেট হলো একটা ডিসিপ্লিনের বিষয়। ডিসিপ্লিন না আনতে পারলে ক্রিকেট ঠিক হবে না।’
আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও আশাবাদি মোস্তফা কামাল। তার ভাষায়,‘আপনারা বাংলাদেশকে নিচু ভাবেন কেন? আমরা র্যাঙ্কিয়ে নিউজিল্যান্ডের উপরে, আমরা আট নম্বর র্যাঙ্কিং নিয়ে নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাবো। আমরা ষোল কোটি মানুষ। এখানে প্লেয়ার হবে না কেন? ক্রিকেটার তৈরির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বিশ্ব ক্রিকেট মঞ্চে আমরা নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলকে অনেক বার হারিয়েছি এমনটি উল্লেখ্য করে তিনি বলেন,‘আপনারা দেখেন আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছি। কাকে হারাইনি? তাহলে আমরা পারবো না কেন? আমি শুধু আমাদের ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে বলব না। সবার জন্যে বলব ডিসিপ্লিন আনতে হবে। সামনে ক্রিকেটকে আরো উন্নত করতে হবে। না হয় এই অর্জন বিফলে যাবে, যদি মাঠে ভালো কাজ করতে না পারে প্লেয়াররা।’