ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশনের একটি কমিটি এখন খতিয়ে দেখবে, দলের ৭ খেলোয়াড় গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে ‘প্রতারণা’ করেছেন কিনা।
জার্মানির সাময়িকী ডের স্পিগেলকে ম্যাচ পাতানোর বিষয়টি জানায় দণ্ডপ্রাপ্ত সিঙ্গাপুরের এক ম্যাচ ফিক্সার।
‘এ’ গ্রুপের দল ক্যামেরুন প্রথম রাউন্ডে তাদের সবকটি ম্যাচই হেরেছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচটি নিয়ে।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মারিও মানজুকিচকে পেছন থেকে দৌড়ে এসে কনুই মারার কারণে লাল কার্ড দেখেন ক্যামেরুনের আলেক্সন্দ সং। এই ম্যাচেরই শেষের দিকে আবার ক্যামেরুনের দুই সতীর্থ বেনোয়া আসু-একোতো ও বেঞ্জামিন মুকাঞ্জো নিজেদের মধ্যে কলহে জড়িয়ে পড়েন।
আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জের ধরে এপ্রিলে ফিনল্যান্ডে সাজাখাটা ম্যাচ ফিক্সার উইলসন রাজ পেরুমাল ডের স্পিগেলের সঙ্গে আলোচনায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে একদম সঠিক অনুমান করেছিলেন। ওই ম্যাচে ক্যামেরুনের হারের সঙ্গে একজনের লাল কার্ড দেখার বিষয়টিও বলেছিলেন তিনি।
ম্যাচ পাতানো অভিযোগ ওঠার পর ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানায়, শিগগিরই অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় ক্যামেরুনের ফুটবল ফেডারেশন।
এই বিষয়টি নিয়ে ফিফা এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ম্যাচ পাতানোর যে কোনো অভিযোগ তারা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় বলে জানায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে ক্যামেরুন পা-ই রেখেছিল বিতর্ক মাথায় নিয়ে। ব্রাজিল রওনা হওয়ার আগে বোনাসের দাবিতে ধর্মঘট করেছিল খেলোয়াড়রা। এমনকি ব্রাজিল না যাওয়ারও হুমকি দেয় তারা। পরে অবশ্য সমস্যার সমাধান হয়।
মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোল হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে ক্যামেরুন। এর পর ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-০ গোলের হার এবং ব্রাজিলে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় আফ্রিকার ‘অদম্য সিংহ’ নামে পরিচিত দেশটি।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর ক্যামেরুনের কোচও যেন অন্যরকম একটা গন্ধ পেয়েছিলেন। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগের সুরেই কথা বলেছিলেন।
“কিছু খেলোয়াড়ের আচরণ সন্তোষজনক ছিল না, এমনকি দল যখন ১১ জনের ছিল তখনও (সং লাল কার্ড দেখার আগে)। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।”