রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্প হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প
। আধুনিক সময়ে মানুষ বৃহদায়তন শিল্পের অপেক্ষাকৃত কমমুল্যে পাওয়া সামগী নির্ভর হয়ে যাওয়ায় কুটিরশিল্পের ব্যবহার প্রায় পরিহারই করে ফেলেছে।
অধিকাংশ হস্তজাত সামগ্রী বিলুপ্ত হয়ে গেলেও বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্পের উপর ভিত্তি করে যে সমস্ত কারিগররা এখনো টিকে আছেন, তাদের অবস্তাও শোচনিয় । বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্পের প্রচলিত আগে থেকে দিন পেরিয়ে আধুনিক, অত্যাধুনিক থেকে ডিজিটাল যুগ এলেও বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্পের কোন পরির্বতন আসেনি । যে সমস্থ বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্পের কারিগর রয়েছে তারা শুধু এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
দেখা গেছে, অধিকাংশ হস্ত শিল্পের কারিগর তাদের পুরো পরিবার এই শিল্পের উপর জীবিকা নির্বাহ করে।পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেবনগড় ইউনিয়নের সাতমেরা গুচ্ছ গ্রামের মোঃ হারুন আলী সহ অনেকে বাঁশের তৈরী হস্ত শিল্পের কাজ করছেন তিনি আমাদের বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর ধরে এ কাজ করছি, আগে বাঁশের দাম ছিলো কম ২০ থেকে ২৫ টাকা এখন একটি বাঁশ কিনতে হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। পরিবারে খানেওলা ৭ জন প্রতিদিন আয় করি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা যা আয় তাই ব্যায় হচ্ছে ভবিষ্যত ছেলে মেদের জন্য কিছু রাখতে পারিনি।
আমরা গুচ্ছ গ্রামে থাকি বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন রিলিফ, সাহায্য পাইনা। সরকার যদি আমাদের সাহায্য ও ঋণ সুবিধা দেয় তাহলে আমরা নিজের জন্য না হলেও সন্তানদের জন্য কিছু করতে পারবো । কারো কোন সহযোগীতা না পেয়ে সন্তান দের লেখাপড়া করাতে পারিনা।
এই সমস্ত হস্ত শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বিশেষ প্রয়োজন । তাছারা ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্পের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এর ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মানুষেরও সচেতন হওয়া দরকার । অন্যথায় আগামী কয়েক বছরের ব্যবধানে এই শিল্প সম্পুর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পাড়ে ।