আমি শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। আমার মনে হয় বাংলাদেশে ফুটবলটাকে জনপ্রিয় করার পেছনে ম্যারাডোনার ভূমিকা অনেক। কারণ ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার একক নৈপুণ্যেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ পেয়েছিল। সে সময় থেকেই ফুটবলটা আরও বেশি জনপ্রিয় হয় আমাদের দেশে। এটা আমার পরিবার-আত্মীয়স্বজন এবং মুরব্বিদের কাছ থেকে শোনা। পরে অবশ্য ম্যারাডোনার খেলার ভিডিও রেকর্ডিং দেখেছি। কিভাবে ১০ জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোল দিতে হয় সেটা ম্যারাডোনাই কেবল জানেন। সে যাই হোক, এবারের বিশ্বকাপটা সত্যিই খুব উপভোগ করছি। কারণ ম্যারাডোনার উত্তরসূরি মেসির যোগ্য নেতৃত্বে ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। মেসি সবক’টি ম্যাচেই ভাল খেলেছেন। অসাধারণ গোলও করেছেন ৪টি। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটা ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অনেক ভয় ও উত্তেজনা কাজ করছিল তখন। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও গোল হয়নি। টাইব্রেকার যখন শুরু হয় বুক ধরপর করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গোলকিপার রোমিরোর ম্যাজিকে আমরা জিতলাম। মেসির চোখে আনন্দের কান্না দেখে নিজের কান্নাও ধরে রাখতে পারিনি। কারণ আমরা আর্জেন্টিনাভক্তরা অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম এ দিনটির জন্য। আমি বলবো এবার ফাইনালে সবচেয়ে সেরা দুটি দলই খেলছে। ১৩ তারিখ আর্জেন্টিনা-জার্মানি ম্যাচটি অনেক উপভোগ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস। টানটান উত্তেজনা থাকবে। তবে এবার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনাই নেবে ইনশাআল্লাহ। মেসি ম্যাজিকের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে রোমিরো, হিগুয়েন, আগুয়েরোদের নৈপুণ্য। আর ডি মারিয়া সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলে তো কথাই নেই! এবার আর্জেন্টিনা কাপ নিয়েই বাড়ি ফিরবে