কক্সবাজারের রামুতে একটি কবরের মাটি ফুলে পাঁচ-ছয় ফুট উঁচু হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্ঠি হয়েছে। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে রহস্য ঘেরা এ কবরটি দেখার জন্য ওই মসজিদে ভীড় করছেন শত শত উৎসুক জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের ফকিরা বাজার কাপড় পট্টি জামে মসজিদ কবরস্থানে।তবে কী কারণে কবরের উপরে এ রকম মাটির স্তুপ হতে পারে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। তবে সাধারণ মুসল্লিদের ধারনা এটা কোনো আওলিয়ার কবরও হতে পারে।
শনিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,রামু ফকিরা বাজারের দক্ষিণ পাশেই ফকিরা বাজার কাপড় পট্টি জামে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের দক্ষিণ পাশে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা একটি পুকুর। ওই পুকুরের চার পাড় নিয়েই কবরস্থানটি অবস্থিত। গতকালও দেখা গেল এখানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষের ভীড়। স্থানীয়রা জানালেন, গত শুক্রবার থেকে খবরটি লোক মুখে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এখন ওই কবরটি দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতা এখানে ভীড় করছে।
ওই মসজিদে দীর্ঘ ২২বছর খতীব হিসাবে আছেন মৌলানা আমানুল হক। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান , ৬০ থেকে ৭০ বছর আগের কথা। এক রাতে মসজিদে অপরিচিত এক লোক মারা যান। ওই লোকটিকে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে ওই স্থানে কবর দেওয়া হয় । বাঁশ-গাছ দিয়ে কবরটি ঘেরাও দেওয়া হয়। ঘেরায় থাকা একটি মাদার গাছের ডাল পরবর্তীতে অনেক বড় হয়ে যায়। এবং ওই গাছের গোড়া ধরে কবরের উপরের অংশে বেশ ঝোঁপ-ঝাড় ও লতা পাতা গজিয়ে ওঠে। বেশ বড়-সড় হয়ে যাওয়ায় আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ওই মাদার গাছটি কেটে ফেলা হয়। গাছটি কাটার পর থেকে ওই স্থানটি আস্তে আস্তে উঁচু হতে থাকে। তবে অনেকের মুখে হঠাৎ করে কবরের মাটি ফুলে ওঠেছে এ কথাটি শোনা গেলেও তিনি এ কথা নাকচ করে দেন। তিনি নিশ্চিত করে বলেন,একদিন,দুইদিন বা এক মাসেও নয়,গত ১৫ বছরে এটি পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে এ অবস্থা হয়েছে।
তিনি আরো জানান,যেদিন মাদার গাছটি কাটা হয়,ওই দিবাগত রাতেই তাঁকে স্বপ্ন দেখানো হয়। স্বপ্নে ওই কবরটিকে ঘেরা-বেড়া দেওয়ার জন্য বলা হয়। বিষয়টি তিনি পরবর্তী জুমার দিন সবাইকে অবগিত করেন। আমান উল্লাহ আরো বলেন,স্বপ্নে দেখানোর পরেই আমি পুরো কবরস্থানটি কাটা তার ঘেরা দেওয়ার উদ্যেগ নিই । তবে ওই কবরটি আলাদা করে ঘেরা দেওয়া হয়নি। সেই ১৫ বছর আগে থেকে ওই কবরের মাটি একটু একটু উঁচু হতে শুরু করে। সম্প্রতি ওই স্থানটিতে আবার ঝোঁপ-ঝাড়ে পরিণত হলে পাঁচদিন আগে গত সোমবার (৭ জুলাই) এটি পরিস্কার করা হয়। ঝোঁপ-ঝাড় কেটে ফেলার পর এটি আরো স্পষ্টভাবে দেখা যায়। বর্তমানে এটির উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট।
তবে কি কারণে কবরের মাটি উঁচু হতে পারে এ প্রসংগে তিনি বলেন,এ বিষয়ে সঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে আমার ধারনা এটি আল্লাহর কোনো আওলিয়ার কবরও হতে পারে।
