তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে খুনি উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “দেশ এখন আর নিরাপদ নয়, কারণ সব খুনি একাত্ম হয়েছে।”
সোমবার রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের সম্মানে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “এখন সব খুনি এক হয়ে রাজত্ব চালাচ্ছে। দেশে প্রতিনিয়ত মানুষ গুম-খুনের শিকার হচ্ছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। খুনিদের হাতে মানুষের নিরাপত্তা থাকতে পারে না।”
সরকারকে লুটেরা আ্যখা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “তারা সরকারি ব্যাংককে খেয়ে-দেয়ে দেউলিয়া বানিয়ে এখন বেসরকারি ব্যাংককে হাত দিয়েছে। এদের লক্ষ্য একটাই দেশটাকেই খেয়ে ফেলা। তারা একের পর এক দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের সবাই এখন টেন্ডারবাজিতে ব্যস্ত। কারো উপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে দেশে ফ্রি স্টাইলে চলছে দুর্নীতি ও লুটতরাজ।”
বিচারকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, “দেশের এখন বিচারবিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না।”
এসময় তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব দাবি করেন। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংসদের এলডি হলে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। তিনি বিভিন্ন টেবিল ঘুরে ঘুরে অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
ড্যাবের সভাপতি ডা. এ কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর ড. এম এ মাজেদ, ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রসেফর ড. মতিউর রহমান মোল্লা, প্রফেসর ড. আফতাব আহমেদ, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোস্তাহিদুর রহমান, প্রকৌশলী আ ন ম আক্তার হোসেন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতাদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীর ছেলে শামীম সাঈদী, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, এমএম আমিনুর রহমান, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা’র শফিউল আলম প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি’র শেখ শওকত হোসেন নিলু, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি’র খোন্দকার গোলাম মুর্তজা, আলমগীর মজুমদার, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পাটির্র আবদুল মবিন, এমএ রশীদ প্রধান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ন্যাপ ভাসানীর মো. আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীব নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, বিজেপি’র সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, ড. মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপিত কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।