ফিলিস্তিনের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর ক্যান্সারের জীবাণু সমৃদ্ধ বোমা ফেলছে ইসরায়েল – এমনটাই দাবি করেছেন নরওয়ের অসলো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও চিকিৎসক এরিক ফোসে।
রবিবার পাকিস্তানের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক এ কথা বলেন।
এরিক বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি বোমার আঘাতে আহতদের মধ্যে ত্রিশ শতাংশই শিশু। তাদের অধিকাংশেরই শরীরেই প্রাণঘাতী ক্যান্সারের জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েল ডেন্স ইনার্ট মেটাল এক্সপ্লোসিভ (ডিআইএমই) নামের অত্যাধুনিক জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করছে। এই বোমাগুলো মানুষের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিআইএমই বোমাগুলো আয়তনে ছোটো হলেও ধ্বংস ক্ষমতা মারাত্মক। এই বোমার ধ্বংসযজ্ঞ বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যে অঞ্চলে এই বোমা ফেলা হয় সেখানকার প্রকৃতিতে পরিবর্তন আসার পাশাপাশি বোমায় আঘাতপ্রাপ্তদের শরীরে ঢোকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শার্পনেল মারাত্মক ক্ষতি করে।
অধ্যাপক এরিক বলেন, ‘গাজার হাসপাতালে এমন অনেক আহতদের পাওয়া যাচ্ছে যাদের শরীরে যুদ্ধের ক্ষতচিহ্নের বাইরেও নতুন নতুন ক্ষতচিহ্ন দেখা যাচ্ছে। সেগুলো গুলি বা বোমার আঘাতের নয়। বরং এর আগে যখন ইসরায়েল ফসফরাস বোমা এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ বোমা ব্যবহার করেছিল এগুলো তার ফল। এখন তারা নতুন জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করছে।’
এদিকে গাজায় ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭২ জনে। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ এ কদিনে গাজা ছেড়ে পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে।