গোটা দেশের মাথা উঁচু তার জন্য। তার সাথে কথা বলতে গেলেও মাথা উঁচু করেই কথা বলতে হয়। এ যেন তুর্কি দেশের ধন্য মেয়ে।
নাম রুমেইসা গেলগি। বয়স ১৭। কিন্তু তার উচ্চতা শুনলে মাথায় হাত দেন সকলেই। বিশালদেহী নারী-পুরুষও তার কাছে যেন ক্ষুদে। আর ছোট্ট শিশুরা তার মুখ দেখে বাবা-মায়ের কোলে চেপে। দাঁড়িয়ে থাকলে তার উচ্চতা দাঁড়ায় ২১৩.৬ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ ৭ ফুট ৯ ইঞ্চি।
উচ্চতার জন্য সে সম্প্রতি নিজের জায়গা করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও। এত কম বয়সে এই উচ্চতার অধিকারী কিশোরী বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বীকৃতি পেয়েছে। তুর্কির কারাবুক শহরের বাসিন্দা এই কিশোরীর বাড়ির দরজা কেটেও বড় করতে হয়েছে তার জন্য। যে খাটটিতে সে ঘুমোয় সেটিও দেখার মতো।
বাড়ির ছোটদের কাছে যদিও এই দীর্ঘাঙ্গী দিদি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু রুমেইসা নিজের মুখেই জানাল পাড়ার ছোটরা আগে তাকে খুব ভয় পেত। এখন অবশ্য তারা সকলেই তার বন্ধু। তার সাথে কথা বলার জন্য বাবা-মায়ের কোলে উঠে পড়ে তারা।
জন্মের পর থেকেই রুমেইলার উচ্চতা তাড়াতাড়ি বাড়তে থাকে। তার বাড়ির সকলেই বেশ লম্বা বলে তার বাবা-মা ভেবেছিলেন মেয়েও এই কারণেই লম্বা হচ্ছে। কিন্তু মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার এই অস্বাভাবিক উচ্চতা বাড়ির সকলেরই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিত্সকেরও পরামর্শ নিয়েছেন।
চিকিত্সকদের মতে কম বয়সে অস্বাভাবিক উচ্চতা একটি রোগ। চিকিত্সকদের পরিভাষায় এই রোগের নাম জাইগ্যানটিসম। অনেক সময় এই রোগ জীবনহানিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে রুমেইসার ক্ষেত্রে এই রোগের কারণেই উচ্চতা কি না তা পরীক্ষানীরিক্ষা করে দেখছেন চিকিত্সকরা। তবে গেলগি এই সব সংশয়কে উড়িয়ে দিয়ে রয়েছেন খোস মেজাজে। পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ সরিয়ে দিয়েছে তার মুখের হাসি।
রুমেইসা গেলগি বলেন, “এত বড় একটা সম্মান পেয়েছি এটাই আমার কাছে গর্বের। আমি সব সময়ই চেয়েছিলাম সকলের থেকে আলাদা হতে। এটা আমার কাছে ইশ্বরের আর্শীবাদ।”