বুধবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সরকার রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে না ধরে বরং একে বেপরোয়া গতিতে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বেগুনের কেজি এখন ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকার ওপরে। পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য। রসুন ১২০ কেজি, আদা ২০০ টাকাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে।”
“আমরা মনে করি, রমজান মাসে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করে পণ্য সিন্ডিকেটের হোতাদের স্বমহিমায় রাখার ব্যবস্থা করেছে। কারণ তারা এই অবৈধ সরকারের স্নেহধন্য।”
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।
দলের নেতাকর্মীদের প্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী অভিযোগ করেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঈদের আগে বেপরোয়া মামলা ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য করার এরকম অবাধ সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।”
তিনি জানান, গত কয়েকদিনে ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোহন, মুন্সি বজলুল বাসিত আনঞ্জু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, বংশাল থানার যুগ্ম আহবায়ক তাইজুদ্দিন আহমেদ তাইজু, এরশাদ আলী লাডলা, মিরপুর থানার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলু, গেণ্ডারিয়া থানা সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির, উত্তরা পূর্ব থানার সভাপতি কফিল উদ্দিন, দক্ষিণ খানের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, লালবাগ থানার নেতা আলতাফ হোসেনসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশির নামে অরাজকতা চালাচ্ছে। এছাড়া ফেনী, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ জেলার নেতাদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ হানা দিয়ে আসবাপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছে।
ঈদের পর আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে বলেও অভযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, “আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, লাল চোখ দিয়ে মানুষের ক্ষোভকে কখনো দমানো যাবে না। ধেয়ে আসা আন্দোলনের হিমবাহে বন্দুক-লাঠির কোনো আক্রমণে কাজ হবে না।”
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, বেলাল আহমেদ, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।