বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিলাইজেশন করার মাধ্যমে মামলা জট দূর করতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত’ স্থায়ী কমিটির ৫ম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম ডিজিটাইজেশনসহ মামলার জট দূরীকরনে সরকারের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এসময় মামলার জট কমিয়ে আনতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি লজিটিক সাপোর্ট প্রদান, জেলা বিচারকদের স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার প্রবনতা রোধ, বিচারকদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়া এবং বিচারকদের কাজের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ নিম্ন আদালতের জিপি ও পিপির অফিসকে আধুনিকায়ন, যুগোপযোগী ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্ভিসে রূপান্তর করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও জিপি ও পিপি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের কোয়ালিটি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের অফিসসমূহ আধুনিকায়ন, তাদের জন্য সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দান ও লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান এবং তাদের সম্মানী যুক্তিসংগতভাবে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের সততা, দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও ময়মনসিংহের জেলা জজ কর্তৃক পঞ্চাশ হাজার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে মামলার জট কমিয়ে আনায় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
তাছাড়া সাব-রেজিষ্ট্রারের শূন্য পদসমূহ দ্রুত পূরনের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাহারা খাতুন, মোঃ শামসুল হক টুকু, মোঃ আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মোঃ ইউনুস, মোঃ জিয়াউল হক মৃধা এবং সফুরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।