বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হলেও এখনো তার রেশ কাটেনি। মাঠের বাইরেও আরেক ‘বিশ্বকাপ’ চলেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। চমৎকার গোল, প্রিয় খেলোয়াড়ের আহত হওয়া, ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস কিংবা নিজের মতামত জানাতে অনেকেই সরব ছিলেন ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ৩২ দিনের এই টুর্নামেন্ট ভেঙে দিয়েছে ফেসবুক বা টুইটারের অতীতের সব রেকর্ড।
বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনায় ফেসবুকে প্রায় ৩৫ কোটি কোটি মানুষ অংশ নেন। সম্মিলিতভাবে তাঁরা ৩০০ কোটি স্ট্যাটাস, কমেন্ট কিংবা লাইক করেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি। অবাক করার ব্যাপার হলো, শুধু জার্মানি-আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ নিয়েই আলোচনায় অংশ নেন আট কোটি ৮০ লাখ মানুষ। ফেসবুকে সক্রিয় ব্রাজিলের ব্যবহারকারীদের ৫৭ শতাংশ বিশ্বকাপসংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেন, অন্য কোনো দেশে এত বেশি সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি। ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২৯ মিনিটে করা সামি খেদিরার করা গোলটি বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত গোল। আর সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত? যখন ফাইনাল ম্যাচে রেফারি বাঁশি ফুঁকে জার্মানির চতুর্থ বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেন। সেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে মেসি প্রথমে থাকলেও ফেসবুকে আলোচিত খেলোয়াড়ের তালিকায় তার অবস্থান দ্বিতীয়, প্রথমে আছেন নেইমার।
এই দৌড়ে টুইটারও খুব একটা পিছিয়ে নেই। বিশ্বকাপ নিয়ে ৬৭ কোটি ২০ লাখ বার্তা (টুইট) ছাড়া হয়েছে এই ৩২ দিনে। এর মধ্যে তিন কোটি ৫৬ লাখ টুইট করা হয় শুধু ব্রাজিল বনাম জার্মানির সেমিফাইনালের ম্যাচটি নিয়ে। টুইটারেও নেইমার সবচেয়ে আলোচিত খেলোয়াড় এবং যথারীতি দ্বিতীয় স্থানে মেসি। অবশ্য ইনজুরি নেইমারের শীর্ষে থাকার মূল কারণ। কামড়-কাণ্ডে আলোচিত লুইস সুয়ারেজ এ ক্ষেত্রে আছেন তৃতীয় স্থানে। ফাইনালে জার্মানির জয়ে ভক্তরা প্রতি মিনিটে গড়ে ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৫ টুইট ছাড়েন।
বিবিসিতে ফাইনাল ম্যাচটি ঘরে বসে দেখেন প্রায় ১০০ কোটি দর্শক, এটিও নতুন রেকর্ড। মজার রেকর্ডও আছে—যেমন ভেনিজুয়েলার ভক্তরা গোলের পর গড়ে ২১ অক্ষরে ‘goal’ শব্দটি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।