কটিয়াদী ,্িকশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ
সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ রাস্তার কারণে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আশংকাজনক হারে বাড়ছে দুর্ঘটনা। ৫৮ কিলোমিটার সরু এ মহাসড়কের পথের স্থানে স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় ও গর্ত হওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়পুল এলাকার হিমু ফিলিং স্টেশনের সামনের ও আশপাশের সড়ক, পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজার ও আশপাশের সড়ক, কটিয়াদী উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড ও আছমিতা এলাকার আশপাশের সড়ক, কুলিয়ারচর উপজেলার মীরেরচর ও ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার এ সড়কপথের স্থানে স্থানে অসংখ্য ফাটল ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ফাটল ও গর্তের কারণে একদিকে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিদিনই এসব স্থানে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। গত ৭ জুলাই দুপুরে এ সড়কের কটিয়াদী এলাকায় সুড়কি ফেলে এসব ফাটল ও গর্ত ভরাটের কাজ করতে দেখা গেছে। আবার কিছুদিন আগে সংস্কারকৃত মহাসড়ক পথের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়পুল এলাকায় অবস্থিত হিমু ফিলিং স্টেশনের সামনের ও আশপাশের সড়ক সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল ও গর্ত দেখা গেছে। এ ব্যাপারে কথা হলে কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব ভায়া ঢাকার সায়েদাবাদে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পরিবহন অনন্যা সুপার সার্ভিসের চেয়ারম্যান আলমগীর মুরাদ রেজা ও যাতায়াত পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপন ঘোষ জানান, এমনিতেই কিশোরগঞ্জ-ভৈরব পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক পথটি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সংকীর্ণ। এ সড়কপথে প্রতিদিনই হাজার হাজার বাস, ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন ধরনের যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রান্সপোর্ট চলাচল করে। এ সংকীর্ণ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ এড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই অনেক যানবাহন দুর্ঘটনার পতিত হচ্ছে।