যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের সব রাস্তা আগামী দু’দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০ তারিখের মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভিন্ন রাস্তার চলমান সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু শাস্তি নয় যিনি ব্যর্থ হবেন তাকে বাদ দিয়ে উদ্যমী লোক নিয়োগ দেয়া হবে।’
মন্ত্রী শুক্রবার সকালে জুরাইন-পোস্তগোলা-পাগলা সড়কের যানজট পরিস্থিতি ও সংস্কার কাজ সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা প্রকৌশলীদের কাজ। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টালে রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে না। জনসচেতনতার বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী প্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ওবায়দুল কাদের জুরাইন রেলগেট এলাকার যানজট পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তা এবং কর্তব্যরত প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়া জুরাইন-পোস্তাগোলা ও পাগলা সড়কে কাজের ক্রুটি হলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে আবারও শোকজ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, যেভাবে কাজ এগ্রিয়ে যাচ্ছে তাতে করে আগামী ২০১৭-১৮ সালের দিকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
তিনি মহাসড়কগুলোতে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে সম্প্রসারণ কাজের যে অংশগুলোর কাজ শেষ হয়েছে- অচিরেই খুলে দেয়া হবে বলেও যোগাযোগ মন্ত্রী জানান।
এ সময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সওজ’র প্রকৌশলী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগের দিন মন্ত্রী বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-নয়াবাজার এলাকার যানজট পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।